নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভায় হানাকাণ্ডে ধৃত চার জনকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে চার অভিযুক্ত মনোরঞ্জন ডি, সাগর শর্মা, নীলম এবং আনমোল শিন্ডেকে হাজির করেছিল দিল্লি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃতদের নিজেদের হাফাজতে নেওয়ার আর্জি জানান দিল্লি পুলিশের আইনজীবী। ওই আর্জি তৎক্ষণাৎ মঞ্জুর করেন বিচারক। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে।
গতকাল বুধবার ছিল সংসদে হামলার ২২ বছর পূর্তি। আর ওই কলঙ্কজনক দিনেই ফের অঘটন ঘটে যায়। দর্শক গ্যালারি থেকে সাংসদ আসনে ঝাঁপিয়ে পড়েন ডি মনোরঞ্জন এবং সাগর শর্মা নামে দুই যুবক। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাংসদদের লক্ষ্য করে রং বোমা ছোড়েন। ঘটনার জেরে হুলুস্থুলু পড়ে যায়। অনেকেই প্রাণ ভয়ে সভা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত দুই সাংসদ হামলাকারীদের পাকড়াও করেন। ভিতরে যখন মনোরঞ্জন এবং সাগর হামলা চালাতে ব্যস্ত ছিলেন, তখনই সংসদ ভবনের বাইরে ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’ বলে শ্লোগান দেন নীলম ও আনমোল শিন্ডে নামে আরও দুজন। তাদেরও পাকড়াও করেন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা রক্ষীরা।
ধৃত চারজনকে গ্রেফতার করে সংসদ মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই আটক করা হয়, লোকসভায় হানাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী বিক্কি শর্মা ও তার স্ত্রীকে। যদিও ষষ্ঠ অভিযুক্ত ললিত ঝা-র হদিশ পায়নি তদন্তকারীরা। তাকে ধরতে একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। সংসদে হানাকাণ্ডে ধৃতদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বা ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।