নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরাণ বলছে গঙ্গার এই ঘাটেই পড়েছিল সতীর কানের দুল। সংস্কৃত ভাষায় কানের দুলকে বলা হয় ‘মনিকর্ণ’। তা থেকেই গঙ্গার তীরের এই ঘাটের নাম ‘মনিকর্ণিকা’। বাঙালির কাশী, হিন্দুদের বারাণসী(Varanasi)। সেই বারাণসীতে গঙ্গার তীরে দশাশ্বমেধ ঘাট এবং সিন্ধিয়া ঘাটের মধ্যবর্তী স্থানেই রয়েছে মনিকর্ণিকা শ্মশান ঘাট। হিন্দুদের বিশ্বাস, মনিকর্ণিকা ঘাটের(Manikarnika Ghat) শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করা হলে, আত্মা স্বর্গলাভ করে। তাই নিত্যদিন সেই ঘাটে শবদেহের মিছিল আসে দাহের জন্য। সেই ঘাটেই এবার ‘অস্থি ব্যাঙ্ক’(Aasthi Bank) গড়বে যোগী প্রশাসন। মানে নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) বারাণসীতে এবার ‘অস্থি ব্যাঙ্ক’ গড়বে যোগী আদিত্যনাথের(Yogi Adityanath) সরকার। আর কয়েকদিনের মধ্যে এটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে প্রশাসনের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। নতুন এই প্রকল্পটি চালু হলে শুধুমাত্র মৃতদেহের ছাই কিংবা অস্থি সংরক্ষণে সাহায্য করবে না, সুষ্টুভাবে প্রিয়জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা যাবে বলেও মনে করছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে সুপ্রিম শুনানি ১৩ মার্চ
বারাণসীর মনিকর্ণিকা ঘাটে প্রতিদিন গড়ে ৯০ থেকে ১২০টা মৃতদেহ দাহ করা হয়ে থাকে। ভারতের বৃহত্তম এবং পবিত্র শ্মশানঘাট হিসেবে পরিচিত বারাণসীর মনিকর্ণিকা ঘাটে মৃতদেহ সৎকারের পর অনেক সময় পরিবার পরিজনকে ছাই ও অস্থি সংগ্রহের জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। এর ফলে সমস্যায় সম্মুখীন হতে হয় পরিবারগুলিকে। অনেক সময় দেখা গেছে, প্রিয়জনের ছাই ও অস্থি সংগ্রহ না করেই পরিবারগুলিকে চলে যেতে। এ ঘটনা রুখতেই এই ‘অস্থি ব্যাঙ্ক’ গঠনের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মনিকর্ণিকা শ্মাশান ঘাটের সরকারি আধিকারিক বিকাশ গুপ্তা। ছাই ও অস্থি সংরক্ষণের জন্য এই ‘অস্থি ব্যাঙ্ক’ আগামী এক বছরের মধ্যে চালু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ‘অস্থি ব্যাঙ্ক’ নির্মাণে ইতিমধ্যেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে যোগী সরকার। বরাদ্দ করা হয়েছে অর্থও।