নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘প্রতিহিংসার’ রাজনীতিতে মেতেছে ত্রিপুরা বিজেপি। আগরতলায় ‘মিথ্যা’ মামলায় যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের পর, রবিবার রাতেই ত্রিপুরা যাওয়ার প্রস্তুতি নেন অভিষেক। এর মাঝেই জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলাতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয় নি ত্রিপুরা পুলিশের তরফে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আজ নয়, মত পাল্টে আগামিকাল ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই আগরতলায় রোড শো রয়েছে তাঁর। তাই আজ রাতে না গিয়ে সোমবার সকালেই ত্রিপুরা যাচ্ছেন তিনি।
২৫ তারিখ পুরভোট আর তার আগেই প্রশাসনের ‘অপব্যবহার’ করছে ত্রিপুরা বিজেপি। রবিবার সকাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে ‘সাজানো’ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেফতার করেছে আগরতলা মহিলা পুলিশ। আর সেই প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখেই দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আজ রাতেই ত্রিপুরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আচমকাই মতবদল করে সোমাবারই ত্রিপুরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেবের করার মামলার ভিত্তিতে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ‘ব্যর্থ’ ত্রিপুরা পুলিশ। সেখানেই বারবার আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মী কিংবা প্রার্থীরা। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরাতে পুরভোট, তার আগেই যুবনেত্রী সায়নীর গ্রেফতারি নিয়ে উত্তাল উত্তর-পূর্বের পাহাড় ঘেরা এই রাজ্য। গত এক সপ্তাহ ধরে কখনও তেলিয়ামুড়া, খোয়াই, আগরতলাতে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলের নেতা কিংবা কর্মীরা। যার প্রতিবাদে গত শুক্রবার ত্রিপুরায় নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ধর্না দেন সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক, সায়নী ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়রা। গত শনিবার তেলিয়ামুড়াতে বানচাল করা হয় পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সভাও। ধস্তাধস্তি হয় বাবুলের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের।
সূত্রের খবর, ত্রিপুরাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর এই আক্রমণের জন্য দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানাতে যেতে পারেন তৃণমূলের সাংসদরা।