নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দলের বয়স মাত্র ১০ বছর। ২০১২ সালে যে দলের জন্ম মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই সেই দলের দখলে দেশের রাজধানীসহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি রাজ্য। বৃহস্পতিবার দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পরেই দেখা যায় এই নির্বাচনে কার্যত ইতিহাস রচনা করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি দল। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যে পদ্মবাহিনীর জয় কিছুটা নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু কয়েক যুগ ধরে পঞ্জাবের মসনদ দখল করে থাকা কংগ্রেস যে আপ ঝড়ে এইভাবে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে এটা রীতিমতো অপ্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু এই অসম্ভবকেই সম্ভবের রুপ নিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং ভগবন্ত মানের জুটি। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল এরপরে কোন রাজ্যের দিকে নজর রয়েছে কেজরি দলের? পঞ্জাবের পর এবার কোন রাজ্যে আসেত চলেছে আপ ঝড়?
আপ নেতা অক্ষয় মারাথে জানালেন, পঞ্জাবের পর এবার আপের নজর গুজরাটের দিকে, যে রাজ্যের ভূমিপুত্র প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। সেই সঙ্গে হিমাচল প্রদেশের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে সম্মুখ সমরে নামছে কেজরিওয়ালের আপ। অক্ষয়ের কথায়, ‘আমরা অবশ্যই গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশে যাচ্ছি। এই দুটি রাজ্যে দল দলীয় কর্মী পাঠাচ্ছে এবং আমরা অবশ্যই পঞ্জাবের মতো এই দুটি রাজ্যেও বড় প্রভাব ফেলব। কয়েক দশক ধরে ভারতের জনগণকে দুটি দলের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, যারা তাদের জন্য কোনও কাজ করেনি। এই প্রথমবার তাঁরা একটি বিকল্প দল খুঁজে পেয়েছে। মানুষ যে পরিবর্তন চায়, সেটা আজকের পর নিশ্চিত।’
উল্লেখ্য,পঞ্জাবের ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনে ১১৭টি আসনের মধ্যে ৯১টি আসনে জিতেছে কেজরিওয়ালের দল। বাকি কংগ্রেস পেয়েছে ১৯টি আসন, বিজেপি ২ এবং অন্যান্যরা পেয়েছে ১। আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত মান জিতেছেন প্রায় ৫৩ হাজার ভোটে। অন্যদিকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, কংগ্রেসের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজোৎ সিং সিধু প্রত্যেক হেভিওয়েট প্রার্থীকে বিপুল ভোটে হারিয়েছেন আপ প্রার্থীরা।