নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বর্ষবরণের দিন ভোর রাতে দিল্লির সুলতানপুরীতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় তরুণীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির বিশেষ পুলিশ কমিশনার শালিনী সিংকে গোটা ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তদন্ত রিপোর্ট সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, যেহেতু দিল্লি পুলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে তাই মুখরক্ষায় এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন শাহ।
বছর শেষের দিনে অর্থাৎ শনিবার গভীর রাতে নিজের স্কুটি চেপে ফিরছিলেন অঞ্জলি সিং নামে ২০ বছরের এক তরুণী। সুলতানপুরীর কাছে পিছন থেকে তাঁর স্কুটিকে ধাক্কা মারে একটি বেপরোয়া গতির গাড়ি। গাড়ির নিচে অঞ্জলির পা আটকে যায়। ওই অবস্থায় তাঁকে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। সুলতানপুরী থেকে কাঞ্ঝাওয়ালা পর্যন্ত ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতেই পৌঁছে যান তরুণী। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই ঘাতক চালক সহ গাড়িটিকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। সোমবার অঞ্জলির মৃতদেহের ময়নাতদন্তও সম্পন্ন হয়। তিন চিকিৎসকের একটি দল ময়নাতদন্ত করেন।
অন্যদিকে ২০ বছরের তরুণীর মৃত্যু নিয়ে এদিন দিনভর উত্তাল ছিল রাজধানী। আম আদমি পার্টির মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজের অভিযোগ অভিযোগ করেন, ‘অঞ্জলির নৃশংস খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে মনোজ মিত্তাল নামে বিজেপির এক সদস্য রয়েছে। তাই দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাক্সেনা ও দিল্লি পুলিশের সিনিয়র আধিকারিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।’ তবে মৃতের পরিবারকে সব ধরনের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল।