নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আসাম রাইফেলসের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে, অভিযোগ সেনাবাহিনীর। সংঘর্ষ বিধ্বস্ত মণিপুরে শান্তি ফেরাতে আসাম রাইফেলস ও সেনাবাহিনী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অথচ আসাম রাইফেলস-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বলেই অভিযোগ সেনাবাহিনীর। অসম রাইফেলস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন আধা সামরিক বাহিনী। এদিকে তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে মণিপুর পুলিশ।এবার এই গৃহযুদ্ধ থামাতে আসাম রাইফেলসের ভূমিকা নিয়ে পাশে দাঁড়াল সেনাবাহিনী। আসাম রাইফেলস ও সেনাবাহিনী যৌথ উদ্যোগে মণিপুরের অশান্তি প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে বলেই জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
এক্স(পূর্বে টুইটার) সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পস পোস্ট করে জানান যে, আসাম রাইফেলস গোষ্ঠী সংঘর্ষে বিধ্বস্ত মণিপুরে শান্তি পুনরুদ্ধারে নিযুক্ত রয়েছে। তাঁদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু শত্রুতাবাদী উপাদান কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা, অভিপ্রায় এবং সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য মরিয়া। বিশেষ করে আসাম রাইফেলস মণিপুরের মানুষের জীবন বাঁচাতে ৩ মে থেকে মণিপুরে শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করে চলেছে।
ইতিমধ্যেই মণিপুর পুলিশ ও আসাম রাইফেলসের মধ্যে বিরোধের একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। মণিপুর পুলিশকে কাজে বাধা দিচ্ছে অসম রাইফেলস, এমনটাই অভিযোগ পুলিশের। মঙ্গলবার রাতে তিন মেইতেই পুরুষের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তদন্তে বের হলে তাঁদের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ উঠেছে আসাম রাইফেলসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এমনকি মেইতেই গোষ্ঠীর মহিলা সংগঠনেরাও আসাম রাইফেলসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছিল। ফলে কিছু চেকপয়েন্ট থেকে আসাম রাইফেলস প্রত্যাহার করে সিআরপিএফ বসানো হয়। এবার সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পস পাশে দাঁড়াল আসাম রাইফেলসের।
উল্লেখ্য, গত চার মাস ধরে মেইতেই ও কুকি জাতির সংঘর্ষে জ্বলছে মণিপুর। অশান্তি থামাতে বিরাট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তাতেও এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে মণিপুর ও কেন্দ্র সরকার।