এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শিবুর রাজ্যে ব্যুমেরাং বিজেপির Operation Lotus, ধাক্কা মোদি-শাহ-নাড্ডার

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) জমানায় বার বার দেশে একের পর এক রাজ্যে নিপুণভাবে সার্থক করে তোলা হয়েছে Operation Lotus। একের পর এক অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে ক্ষমতার বদল ঘটানো হয়েছে শাসক দলে ভাঙন ঘটিয়ে। তা সে মধ্যপ্রদেশ হোক কী গোয়া, বিহার হোক কী মণিপুর। প্রতিবারই এতদিন দুর্জয় গতিতে এগোচ্ছিল বিজেপির(BJP) সেই Operation Lotus। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের মুখেই সেই দলবদলের খেলা ধাক্কা খেল শিবু সোরেনের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের(Jharkhand) বুকে। এদিন ছিল ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় চম্পই সোরেন(Champai Soren) সরকারের আস্থাভোট। বিজেপির অন্ধভক্ত থেকে সিপিএমের হার্মাদরা প্রকাশ্যেই বলতে শুরু করে দিয়েছিল, ‘বিহার দখল হয়েছে, ঝাড়খণ্ডও পকেটে, এবার বাংলা দখল করা হবে।’ কিন্তু সেই দাবি এদিন নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার আস্থাভোটে। মুখ থুবড়ে পড়েছে Operation Lotus। আস্থা ভোট জিতে গিয়েছে চম্পই সোরেনের সরকার। অস্বীকার করার উপায় নেই এই ধাক্কা শুধু বিজেপির নয়, ধাক্কা মোদি-শাহ-নাড্ডাদেরও।   

ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসনের সংখ্যা ৮১। শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এক বিধায়ক আগেই ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক পদ থেকে। সেই হিসাবে ৮০জন বিধায়কের হাতেই চম্পই সোরেন সরকারের ভাগ্য নির্ধারনের দায়দায়িত্ব ছিল। আস্থা ভোট জিততে প্রয়োজন ছিল ৪১টি ভোটের। দেখা গেল বিধানসভায় চম্পই সোরেন সরকারের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৭টি। যদিও গতকাল পর্যন্ত জানা যাচ্ছিল ৩৭জন বিধায়কের সমর্থন থাকছে চম্পই সোরেন সরকারের পক্ষে। মেরেকেটে সেটা ৪৩ হতে পারে। কিন্তু এদিন দেখা গেল সেটাই ৪৭ হয়ে গিয়েছে। আস্থা ভোটের স্বপক্ষে ৪৭জন বিধায়ক সমর্থন জানিয়েছেন। বিপক্ষে ২৯জন বিধায়ক সমর্থন দিয়েছেন। এদিন আস্থা ভোটে অংশ নেন ৭৭জন বিধায়ক। তার মধ্যে ভোট দেন ৭৬জন। তাতেই দেখা গেল জিতে গিয়েছে চম্পই সোরেনের সরকার। মুখ থুবড়ে পড়েছে Operation Lotus।   

এতদিন বিজেপি একতরফা ভাবে Operation Lotus’র মাধ্যমে একের পর এক অবিজেপি শাসিত রাজ্যে শাসক শিবির ভাঙিয়ে এসেছে। তাঁরা কল্পনাও করতে পারেনি যে এই পথ ধরে INDIA জোট তাঁদের ঘরেই হানা দেবে। গত কয়েক দিন ধরেই জল্পনা ছড়িয়েছিল শাসক জোটের বেশ কিছু বিধায়ক শাসক শিবিরের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নাকি কোনও যোগাযোগই করা যাচ্ছে না। কিন্তু এদিন দেখা গেল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ২৯জন বিধায়ক, কংগ্রেসের ১৬জন বিধায়ক, আরজেডির ১জন বিধায়ক চম্পই সোরেনের সঙ্গেই আছেন। পরে দেখা যায় সিপিআই(এমএল)’র ১জন বিধায়কও সোরেনের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন। তাতেই বুখ পুড়েছে বিজেপি। তাঁরা ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতা দখলের জন্য অপারেশন খিচাড় শুরু করেছিল। সেই খিচাড় মুখ থুবড়ে পড়েছে এদিন। যা দেখে ট্যুইট করে খোঁচা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও। সব থেকে বড় কথা লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে যে ধাক্কা দেওয়া যায় সেটা প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেল। বিহার দখল করে বিজেপি যে অক্সিজেন পেয়েছিল, ঝাড়খণ্ড ধরে রেখে সেই ততটাই বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গেল INDIA।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জেএমএমের তারকা প্রচারকের তালিকায় ‘জেলবন্দি’ হেমন্ত সোরেন

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার

ভোটের মধ্যেই বাংলাদেশ-সহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রফতানির অনুমোদন কেন্দ্রের

‘বাবার ছিন্নভিন্ন দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরেছি’, প্রচারে আবেগপ্রবণ প্রিয়াঙ্কা

মদ্যপ অবস্থায় মায়ের ওপর অত্যাচার করত বাবা, কষ্ট সইতে না পেরে  আত্মঘাতী তরুণী

২৬/১১-এর মুম্বই হামলা মামলার সরকারি আইনজীবী লড়ছেন বিজেপির হয়ে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর