নিজস্ব প্রতিনিধি: এখন সঙ্গীদের সংখ্যা ২৬। কিন্তু আগামী দিনে তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। কেননা জোটে যোগ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে আরও বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হল BRS বা Bharat Rastra Samiti, যাকে দেশের বেশিরভাগ লোক চেনেন Telangana Rastriya Samiti বা TRS নামে। এই রাজনৈতিক দলটি তৈরি করেছেন কে চন্দ্রশেখর রাও(K Chandrasekhar Rao)। তিনি যেমন এখন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করছেন তেমনি তাঁর দল সেখানে রাজত্বপাট চালাচ্ছে। তেলেঙ্গানার মাটিতে তাঁর লড়াই মূলত বিজেপির(BJP) সঙ্গে। কিন্তু তাঁর লড়াই রয়েছে কংগ্রেসের(INC) সঙ্গেও। আর সেই কারণেই বিজেপির বিরুদ্ধে দেশে ২৪’র ভোটযুদ্ধের লক্ষ্যে তৈরি INDIA জোটে এখনও যোগ দেয়নি BRS। কিন্তু আগামী দিনেও যে তাঁরা এই জোটের বাইরেই থাকবে এমনটা মোটেও নয়। বরঞ্চ জানা গিয়েছে, তাঁরা জোটে যোগ দিতে পারেন ২৪’র ভোট যুদ্ধের আগেই আর সেটা কংগ্রেসকে জোটের মাথা মেনে না নিয়েই। তাঁরা বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই(Mamata Banerjee) জোট তথা দেশের নেত্রী হিসাবেই দেখতে চাইছেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিদিনে INDIA জোটে আরও দল যাতে সংযুক্ত হয় সেই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নিজের মতো কাজ করছে। সেই সূত্রেই তাঁদের সঙ্গে তেলঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। ইতিমধ্যেই তারা INDIA জোটকে সঙ্গ দিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের বৈঠক থেকে একদিন ওয়াক আউট, একদিন বয়কট করেছে। BRS দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিলের ক্ষেত্রেও যে INDIA জোটের পাশে থাকবে, এমন সম্ভাবনাই প্রবল। সূত্রের খবর, তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ানের সঙ্গে BRS’র রাজ্যসভার দলনেতা কে কেশব রাও বিভিন্ন ইস্যুতে নিয়মিত আলোচনা করছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন, ‘BRS-র সঙ্গে তৃণমূলের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। দিনে পাঁচবার পর্যন্ত কথা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক আছে।’ তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসকে জোটের নেতা মানতে বা সোনিয়া গান্ধি বা রাহুল গান্ধিকে জোটের নেতানেত্রী মানত্যে নারাজ কে চন্দ্রশেখর রাও। কিন্তু সেই পদেই মমতার নেতৃত্ব মানতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই।