নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের পরে বিহারেও এনডিএ’র শরিক দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে। বুধবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন বিহারে এনডিএ জোটের শরিক দলের শীর্ষ নেতারা। হাজির ছিলেন চিরাগ পাসোয়ান ও মঙ্গল পাণ্ডে। সূত্রের খবর, সমঝোতা অনুযায়ী হাজিপুর-সহ ৫ আসনে লড়বে রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ানের দল। একটি করে আসনে লড়বে জিতনরাম মাজির হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা এবং উপেন্দ্র কুশয়াহার আরএল এম একটি করে আসনে প্রার্থী দেবে। নীতীশ কুমারের জেডিইউ ১৬টি এবং বিজেপি ১৭টি আসনে লড়বে। পশুপতি পারশের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টিকে কোনও আসন ছাড়া হচ্ছে না।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এনডিএ’র শরিক হিসাবে বিহারের ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ছয়টি আসনে লড়েছিল প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি। যদিও পরে দলে ভাঙন ধরে। আলাদা গোষ্ঠী গড়েন রামবিলাসের ভাই পশুপতি পারশ। কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। এনডিএর শরিক হিসাবে এবারেও বিহারের ছয়টি লোকসভা আসনে লড়াইয়ের দাবি জানান চিরাগ পাসোয়ান। যদিও প্রথম দিকে চারটির বেশি আসন দিতে রাজি ছিল না বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
চিরাগের সঙ্গে পদ্ম শিবিরের আসন সমঝোতা নিয়ে টানাপোড়েনকে কাজে লাগাতে আসরে নামে ইন্ডিয়া জোট। রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্রকে পাঁচটি আসন ছাড়ার প্রস্তাব দেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। ক্ষমতালোভী চিরাগ ওই টোপ গিলতে পারেন বলে আশঙ্কা করে জোট অটুট রাখতে আসরে ঝাঁপায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এদিন দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান চিরাগের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়, চিরাগের দলকে পাঁচটি আসন ছাড়া হবে। রামবিলাসসের খাসতালুক হিসাবে পরিচিত হাজিপুর থেকে লড়বেন চিরাগ। আর লোক জনশক্তি পার্টির অন্য গোষ্ঠীর নেতা পশুপতি পারশকে বিহারের রাজনীতি থেকে সরাতে কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল পদে পাঠানো হবে। নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পরেই সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করার কথা জানান চিরাগ। যদিও বিহারে এনডিএ’র শরিক দলগুলি কে কত আসনে লড়বে, তা উল্লেখ করেননি তিনি।