নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিচারপতি নিখিল এস কারিয়েলের (Justice Nikhil S Kariel) বদলির প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিলেন গুজরাত হাইকোর্টের আইনজীবীরা। লাগাতার কর্মবিরতির ফলে আদালতের কাজকর্ম শিঁকেয় উঠেছিল। সমস্যা সমাধানে গত সোমবার শেষ পর্যন্ত আন্দোলনরত আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice of India DY Chandrachud)। আর ওই বৈঠকের পরেই বিচারপতি নিখিল এস কারিয়েলের বদলি স্থগিত রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের (Supreme Court Collegium) পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টের সাত বিচারপতির বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। ওই তালিকায় নাম নেই গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি নিখিল এস কারিয়েলের (Justice Nikhil S Kariel)। শেষ পর্যন্ত দাবি পূরণ হওয়ায় উৎসবে মেতে উঠেছেন গুজরাত হাইকোর্টের আইনজীবীরা।
গত ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Chief Justice of India DY Chandrachud) নেতৃত্বে কলেজিয়ামের (Supreme Court Collegium) বৈঠকে গুজরাত ও তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের তিন বিচারপতিকে পটনা হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করা হয়। আর ওই সুপারিশ জানাজানি হতেই কর্মবিরতিতে নামেন গুজরাত হাইকোর্টের আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি, বিচারপতি নিখিল এস কারিয়েল (Justice Nikhil S Kariel) শিরদাড়া উঁচু রেখে মামলার রায় দিচ্ছেন। তিনি সাধারণ মানুষের কাছে পরিত্রাতা হয়ে উঠেছেন। তাঁর বদলি ভুল বার্তা দেবে। কর্মবিরতির ফলে অচল হয়ে পড়ে গুজরাত হাইকোর্টের কাজকর্ম। শেষ পর্যন্ত দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice of India DY Chandrachud) আন্দোলনরত আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেন। সেই আশ্বাসের পরেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের বৈঠকে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টের সাত বিচারপতিকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সাতজনের মধ্যে গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি নিখিল এস কারিয়েলের (Justice Nikhil S Kariel) নাম নেই। মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি ভিএম বেলুমনিকে কলকাতা হাইকোর্টে, অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি বাত্তু দেবানন্দকে মাদ্রাজ হাইকোর্টে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।