নিসর্গ নির্যাস: গত শুক্রবার হয়ে গিয়েছে করমণ্ডল (Coromondel Express) দুর্ঘটনা। লাশের স্তুপ বেড়েছে। সংখ্যাটা ২৯৫। আহত অন্তত হাজারের বেশি। নিহত ও আহতদের পরিবার পাবে আর্থিক সাহায্য। রিজার্ভেশন টিকিট যাদের ছিল, তাঁরা পাবেন ঠিকই কিন্তু যারা জেনারেল বগিতে উঠেছিলেন?
সাধারণত ক্ষতিপূরণের লিস্ট করা হয় নাম, পরিচয়পত্র এবং ফোন নম্বর দিয়ে। রিজার্ভেশন ক্যাটাগরিতে টিকিট কাটার সময় সেই তথ্য দিতে হয়। থাকে পিএনআর নম্বর। কিন্তু জেনারেল কামরায় ওঠার জন্য টিকিট কাটার সময় বালাই নেই নাম-তথ্য- নম্বরের। থাকে না পিএনআর। অথচ জেনারেল কামরার যাত্রীরাও শিকার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার। তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের কী হবে?
গত শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। গুরুতর আহতরা পাবেন ১ লক্ষ টাকা। অল্প আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবারকে দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা করে। রেলমন্ত্রক থেকে নিহতদের পরিবারকে দেওয়া হবে ১০ লক্ষ টাকা এবং গুরুতর আহতদের দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা। তৃণমূলের তরফে বাংলার মৃতের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে ৪টি জেনারেল বগি ছিল। প্রশ্ন ওই বগির যাত্রীদের কী ভাবে চিহ্নিত করা হবে? রেলের নিয়ম অনুযায়ী যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর দেহ শনাক্ত করার পরে চিকিৎসক ইস্যু করেন মৃত্যু শংসাপত্র । তা যতক্ষণ না ইস্যু হচ্ছে ততক্ষণ সরকারি ক্ষতিপূরণের অর্থ মেলে না। অবশ্য এই মৃত্যুপুরী এবং আহতদের আর্তনাদের মাঝে ‘ক্ষতিপূরণ’ শব্দটা বড় ‘অবাস্তব’।
রেলের তরফে অশণাক্তরণ হওয়া দেহের মুখের ছবি ডিজিটালাইজড সংরক্ষণ পক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর যাদের দেহ শণাক্ত সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া উপায় নেই।