নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দুর্ঘটনা হাড়িয়ে গিয়েছে সর্বস্ব। তিন বছর আগের দুর্ঘটনার জেরে বাবা, মা, দিদিকে একসঙ্গে হারিয়েছে কিশোর। তিন বছর আগের সেই দুর্ঘটনার এত দিনে ক্ষতিপূরণ পেতে চলেছে সে। আদালত তাকে দেড় কোটির বেশি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থাকে। কিন্তু টাকা দিয়ে কি সত্য়িই ক্ষতিপূরণ হবে ওই কিশোরের
তিন বছর আগে ভোপাল-ইনদওর জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়। মৃতেরা হলেন মণীশ কপূর, তাঁর স্ত্রী ভাব্যা এবং কন্যা লভলীন। বেঁচে গিয়েছিল কেবল তাঁদের পুত্র এবং আর এক কন্যা। সেই কন্যা বেঁচে গেলেও সুস্থ হতে পারেনি। এখনও সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের আইনজীবী মণীশ দ্বিবেদী ক্ষতিপূরণের আর্জি জানিয়ে আদালতে মামলা করেন।
সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ভোপালের আদালত ১৪ বছরের ওই কিশোরকে ১,৬৬,৫৮,৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ভোপাল-ইনদওর জাতীয় সড়কের মাঝখানে দাঁড় করানো একটি ট্যাঙ্কারে ধাক্কা খেয়েছিল মণীশদের গাড়ি। ওই ট্যাঙ্কারের মালিক এবং তার সঙ্গে যুক্ত বিমা সংস্থা এই ক্ষতিপূরণের অর্থ দেবে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছে, মণীশ সমস্ত নিয়ম মেনেই সে দিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ট্যাঙ্কারটি ভুল জায়গায় দাঁড় করানো হয়েছিল। সেই কারণেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। ট্যাঙ্কারের সঙ্গে বিমা সংস্থা চুক্তিবদ্ধ। তাই ক্ষতিপূরণের টাকা তাদেরই দিতে হবে। বিচারক জানিয়েছেন, বিমা সংস্থা এবং ট্যাঙ্কারের মালিক একত্রে অথবা আলাদা ভাবে টাকা দিতে পারবেন।