নিজস্ব প্রতিনিধি: গত শনিবার দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ঘোষিত হয়েছে রাজ্যসভা ও লোকসভার যাবতীয় কমিটি। এই কমিটি না গড়া নিয়ে ও বিলের আলোচনা না হওয়ার জন্য কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রামেশের সঙ্গে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। অবশেষে সেই কমিটি ঘোষণা করলেও চুপ থাকছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক। শুধুমাত্র কমিটি গঠন করেই ক্ষান্ত না থেকে বিলের আলোচনা ও স্ক্রুটিনি করার কথা জানিয়েছেন ডেরেক।
রবিবার টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, ‘গতকাল রাতে সংসদীয় কমিটিগুলি ঘোষণা হয়েছে শুনে আনন্দিত হলাম। শুনছি যে আমার ও জয়রাম রমেশের কারণেই নাকি এই ঘোষণা হয়েছে? আমরা সংসদীয় রাজনীতিকে আরও দৃঢ় করতে চাই। কেবলমাত্র সংসদীয় কমিটির বৈঠকে হাজিরা দিতে আমরা যাব না। বেশি করে বিলগুলির স্ক্রুটিনি করতে হবে। ১০টি মধ্যে একটির আলোচনা করলে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের এমন উদ্যোগ আমরা মেনে নেব না।’ এরপরেই প্রতি লোকসভার সংসদীয় কমিটির বিলের স্ক্রুটিনির হার দেখিয়ে ডেরেক টুইট খোঁচা দিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। চতুর্দশ লোকসভায় বিলের স্ক্রুটিনির হার ৬০ শতাংশ। পঞ্চদশ লোকসভায় সেই স্ক্রুটিনি বেড়ে হয়েছিল ৭১ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পর ষোড়শ লোকসভায় স্ক্রুটিনির শতাংশ দাড়িয়েছিল ২৫-এ। এরপর সেটা আরও কমে যাবে বলে অনুমান করেছেন ডেরেক।
এবারের সংসদীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন অনেকেই। যেমন প্রসারভারতীর প্রাক্তন সিইও ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারকে শশী থারুরের সঙ্গেই তথ্য ও প্রযুক্তির মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আনা হয়েছে। তৃণমূলের আরও এক নতুন সাংসদ সুস্মিতা দেব শিক্ষা, নারী, শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে গিয়েছেন। ডেরেক পরিবহণ মন্ত্রক থেকে চলে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে। উল্লেখযোগ্য ভাবে শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী রয়ে গিয়েছেন স্থায়ী কমিটিতে তাও আবার তৃণমূলের সাংসদ হিসেবেই।