বারাণসী: কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গ এবং বিশ্বনাথ করিডোর নতুন করে তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ৭০০ কোটির বেশি টাকা। নতুন করে তৈরি করার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, পুণ্যার্থীরা যেন ভালোভাবে দর্শন করতে পারেন, পুজো দিতে পারেন। কিন্তু কথায় আছে অধ্যবসা ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না। তাই তো প্রকৃতি নিজেই নিতে শুরু করেছে পুণ্যার্থীদের পরীক্ষা। সময়ের আগেই দাবদাহ শুরু হয়েছে। আর তার জেরেই মন্দিরের পাথর গরম হতে শুরু করেছে। পাথরগুলো এতটাই গরম হয়ে পড়ছে পা রাখা দুষ্কর। আর তা সহ্য করতে না পেরে বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডরে পুণ্যার্থীদের ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে।
আপনি বিশ্বনাথ ধামে ভক্তদের দৌড়তে দেখে অবাক হবেন না। বিশ্বনাথ ধামে কোনও ম্যারাথন দৌড় হচ্ছে না। চলতি বছর মার্চের শুরু থেকেই দাবদাহ শুরু হয়েছে। বারাণসীতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে। আর এই তাপমাত্রার জেরে বারাণসীতে বিশ্বনাথ করিডরের পাথর গরম হতে শুরু করেছে। এতটাই গরম যে পাথরে পা রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। যার জেরে কখনও শিশু কোলে মা তো কখনও পুজো দিতে আসা প্রবীণ নাগরিকরা ছোটাছুটি করছেন। মাথার ওপর ক্ষুব্ধ সূর্য দেবতা, পায়ের নীচে উত্তপ্ত পাথর, ছোটাছুটি করলেও পুণ্যার্থীদের কাছে একটু ছায়া খোঁজা দুষ্কর হয়ে উঠছে।
মহারাষ্ট্রের অমরাবতী থেকে আসা প্রবীণ নাগরিক গণেশ আচার্য, কলকাতা থেকে আসা সঞ্জয় পাণ্ডে বা গাজিপুর থেকে আসা চন্দ্রামৌলি চৌহান সকলের একই দাবি, গরম পাথরে পা পুড়ে যাচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের সব থেকে অসুবিধা হচ্ছে। বিশ্বনাথের দর্শন পেয়ে সকলেই খুশি। তবে মাদুর আর একটু ছায়া না হলে এই গরম সহ্য করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। পরে আরও গরম পড়বে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা ভক্তদের।