এই মুহূর্তে




এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় একই গ্রামের ১৪ বাসিন্দা প্রাণ হারিয়েছেন




নিজস্ব প্রতিনিধি, দিউ: বৃহস্পতিবার বিকেলে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফের সময় লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI-171 কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিজে মেডিক্যাল কলেজের একটি আবাসিক পড়ুয়াদের হোস্টেলে বিধ্বস্ত হয়। ১২ জুনের বিমান দুর্ঘটনায় কেবল বিমানটিই নয়, বহু মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চূরমার হয়ে গিয়েছে। কেউ হারিয়েছেন সন্তানকে, কেউ মা বা বাবাকে, কেউ ভাই, বোন, স্ত্রীকে। কিছু মানুষের জন্য করা অপেক্ষা হয়ে গিয়েছে অনন্ত। যাদের আসার কথা ছিল, তাঁরা আর আসবেন না। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার এমন মানুষও হয়েছেন, যারা প্রথমবার বিমানে ওঠার স্বপ্নপূরণ করতে চেয়েছিলেন।

দুর্ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিউ’র ১৪ জন নিহত হয়েছেন। দিউর একটি ছোট, শান্ত গ্রাম বুচারওয়াদা। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় এই গ্রামের ১৪ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। ১৪ জন মানুষ জলজ্যান্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে পরিবার পরিজনদের বিদায় জানিয়ে বেরিয়েছিলেন, দিয়ে গিয়েছিলেন খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি। পুড়ে যাওয়া, প্রায় না চিনতে পারা কফিনবন্দি দেহ হয়ে ফিরছেন তাঁরা। পরিবার তো বটেই, গোটা গ্রামের একটি মানুষও ভাবেননি এভাবে ফিরবেন তাঁদের প্রিয় মানুষগুলো। একসময় যাদের অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন, এখন তাঁদের শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছে।

যারা মারা গিয়েছেন তাদের সকলেরই দিউর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কর্মসূত্রে হয়তো বহু বছর বিদেশে, তবুও জন্মভূমির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি তাঁরা। দিউতে যে সব পরিবারগুলি বাস করেন তাঁদের সন্তান সন্ততিরা হয়তো ভিন্ন দেশের নাগরিক। গ্রামে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মা, গ্রামের বাড়িতে বিয়ে বা কোনও উৎসব তাতে যোগ দিতে, অথবা শুধুমাত্র নিজের শিকড়ের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করতে তাঁরা ফিরে আসতেন বারবার।

যে ১৪টি কফিনবন্দি দেহ ফিরে আসবে গ্রামে তাঁরাও এসেছিলেন তেমনই। বুচারওয়াড়ার পঞ্চায়েত সদস্য দীনেশ ভানু বলেছেন, “এই বেদনা অকল্পনীয়। আমাদের গ্রামের নয়টি পরিবার প্রিয়জনদের হারিয়েছে। এরা এমন মানুষ যারা সমুদ্র পেরিয়ে বিদেশে যাওয়ার পরেও জন্মভূমিকে কখনও ভুলে যাননি।”

দিউ’তে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ ও অজয় কুমার রমেশ। ফেরার সময়ই ঘটে বিমান দুর্ঘটনা। রমেশ ভাগ্যের জোরে বাঁচলেও অজয় পারেননি।

বিমানে নিহতদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। এই ক্ষতির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল গুজরাতি প্রবাসীরা। তারা বেশিরভাগই দিউর বাসিন্দা। তাই একথা বলা ভুল হবে না যে দিউতে মানসিক আঘাত অনেক বেশি। স্বদেশে ফিরে আসার আশা নিয়ে বিমানে উঠে বসেছিলেন যাত্রীরা, ভাগ্যের ফেরে চিতাভস্ম হয়ে রয়ে গেলেন ভারতেই। এই শোকের যে কোনও সান্ত্বনা হয় না।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ইয়েমেনে খুনের দায়ে কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়াকে ফাঁসি দেওয়া হবে ১৬ জুলাই

ফাঁকা ট্রেনে মহিলাকে গণধর্ষণের পর ছুঁড়ে ফেলা হল চলন্ত ট্রেনের সামনে, নারকীয় ঘটনা হরিয়ানায়

‘ড্রিমলাইনার সবচেয়ে নিরাপদ’, বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদীয় সমিতিকে সাফাই এয়ার ইন্ডিয়ার

বিহারে সরকারি চাকরিতে মেয়েদের ৩৫% সংরক্ষণ! মহিলা ভোট টানতে নয়া চাল নীতীশের

দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে NRC নোটিশ, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

ভূত তাড়ানোর নামে মাকে পিটিয়ে মারল ছেলে

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ