নিজস্ব প্রতিনিধি, সিমলা : ৬৮টি আসনের জন্য আজ, শনিবার সকাল থেকে চলছে হিমাচল প্রদেশের ভোটগ্রহণ৷ এখনও পর্যন্ত অশান্তির কোনও খবর নেই। বিজেপি, কংগ্রেস ছাড়াও এবার হিমাচলে ভোটের ময়দানে রয়েছে আম আদমি পার্টি৷ তবে মূল লড়াই বিজেপি বনাম কংগ্রেসের মধ্যে। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলে যাওয়াটাই হিমাচলের দস্তুর৷ দীর্ঘ চার দশক পর সেই পাহাড়ি রাজ্যের এই রাজনৈতিক ধারায় কোনও বদল আসে কি না, তা জানতে অবশ্য আগামী ১২ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷ তবে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, ক্ষমতাসীন বিজেপি-র কাছে ক্ষমতা ধরে রাখা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং৷
হিমাচলে ভোটার সংখ্যা ৫৫ লক্ষ৷ পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলের রেওয়াজ রুখতে বিজেপি প্রচারে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের উন্নয়নের তত্ত্বকেই হাতিয়ার করেছিল৷ প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখকেও৷ বিজেপি মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে তাদের সরকার টিকিয়ে রাখা জরুরি৷ উল্টোদিকে হিমাচল প্রদেশের মানুষের এই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাই কংগ্রেসের সবথেকে বড় ভরসা৷ এই ধারা বজায় রাখার জন্যই প্রচারে জোর দিয়েছেন দলের নেতারা৷ হিমাচলে দলের প্রবীণ নেতা বীরভদ্র সিং-এর মৃত্যুর পর থেকেই নেতৃত্বের সঙ্কটে ভুগছিল কংগ্রেস৷ যদিও এবার দলের টিকিট বণ্টন অতীতের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী হয়েছে বলে দাবি কংগ্রেস নেতাদের৷ এই মুহূর্তে বীরভদ্র সিং-এর স্ত্রী প্রতিভা সিং রাজ্যে কংগ্রেসের প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন৷ অন্যদিকে বীরভদ্রের ছেলে বিক্রমাদিত্যকেও প্রার্থী করেছে দল৷
হিমাচলে বিজেপি-র আরও একটা মাথাব্যথার কারণ দলের বিদ্রোহীরা৷ অন্তত ২১টি আসনে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে লড়ছেন বিজেপি-র বিক্ষুব্ধ নেতারা৷ ৬৮ আসনের বিধানসভায় এই নির্দলরাই শেষ পর্যন্ত বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারেন, এমন আশঙ্কা রয়েছে বিজেপি-র অন্দরেই৷ এক বিক্ষুব্ধ প্রার্থীকে বোঝাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফোনের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে৷ হিমাচল প্রদেশ বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্য। তাই এই রাজ্য হাতছাড়া হলে নাড্ডা অস্বস্তিতে পড়বেন।