নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: অবশেষে উদ্বেগের অবসান। শনিবার রাতে বিশেষ বিমানে রোমানিয়া থেকে মুম্বইয়ে পৌঁছলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া ২১৯ পড়ুয়া। নিরাপদে দেশের মাটিতে পৌঁছে অনেকেই যেমন আনন্দে কেঁদেছেন, তেমনই অনেকে মাতৃভূমিকে শুয়ে প্রণাম করেছেন। ইউক্রেন থেকে ফেরত আসা পড়ুয়াদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন বৃহন্মুম্বই পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকরা। মেয়র কিশোরী পেনডেনকর জানিয়েছেন, দেশে ফেরা ২১৯ পড়ুয়ার থাকা-খাওয়া থেকে বাড়ি পৌঁছনো পর্যন্ত যাবতীয় খরচ পুরসভাই বহন করবে।
ইউক্রেনে মেডিকেল সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন কয়েক হাজার পড়ুয়া। যে কোনও মুহুর্তে যুদ্ধ বাঁধতে পারে সেই আশঙ্কায় অবিলম্বে ইউক্রেন ছেড়ে দেশে ফেরার জন্য পড়ুয়া সহ দেশের নাগরিকদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিল কিয়েভে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। কিন্তু বিমানের টিকিট না পাওয়ায় অনেকেই ফিরতে পারেননি। গত বৃহস্পতিবারই তাঁদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান পাঠিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ায় আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছিল ইউক্রেন সরকার। ফলে মাঝপথেই ফিরতে হয়েছিল বিশেষ বিমানকে। আর তার পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আটকে পড়া পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকরা। অবশেষে রোমানিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি সহ ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে কথা বলে পড়ুয়াদের ওই দেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় বিদেশ মন্ত্রক।
প্রথম ধাপে এদিন রোমানিয়ায় দুটি ও হাঙ্গেরিতে একটি বিশেষ বিমান পাঠানো হয়। এদিন রাত সোয়া আটটা নাগাদ ২১৯ পড়ুয়াকে নিয়ে রোমানিয়া থেকে প্রথম বিমান মুম্বই বিমানবন্দরের মাটিতে পা রাখে। পড়ুয়াদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। পড়ুয়াদের মানসিক ধকলের কথা মাথায় রেখে বিমানবন্দর থেকে বাইরে আনার জন্য বিশেষ করিডর তৈরি করা হয়। দেশের মাটিতে পা রেখে ইউক্রেনে আটকে পড়া পড়ুয়াদের অধিকাংশই দূতাবাসের কর্মী-আধিকারিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।