নিজস্ব প্রতিনিধি : কথায় কথায় মুড়ি মুরকির মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই রয়েছে। চিকিৎসকরা বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক রোগীদের দিতে থাকেন। এবার থেকে কী কারণে এই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হল, সেকথা প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে চিকিৎসককে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে সংস্থার তরফে রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার যদি কমানো না যায়, তাহলে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হবে। এই রিপোর্ট সামনে আসার পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে থাকা ডায়রেক্টরেট অফ হেলথ সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের কাছে আবেদন যেন প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার প্রকৃত কারণ তুলে ধরা হয়।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ১২ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে ব্যাকটেরিয়াল এএমআর ব্যবহারের ফলে। পাশাপাশি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে আরও ৪৯ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিকের এই নেতিবাচক প্রভাবের কথা প্রকাশিত হওয়ার পর কেন্দ্রের তরফে সমস্ত ওষুধ নির্মাতাদের কাছে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, তারা যেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বিক্রি করা করে।