নিজস্ব প্রতিনিধি : ঝাড়খণ্ড জুড়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হল। বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা চম্পাই সোরেনকে শপথগ্রহণের সময় দিলেন না রাজ্যপাল। এদিকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কদের চার্টার্ড বিমানে করে হায়দরাবাদ নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করা হচ্ছে।
বুধবার রাতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। এরপরই জমি দুর্নীতি মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করে ইডি। হেমন্তের ইস্তফার পর বুধবার রাতেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা চম্পাই সোরেন দেখা করেন রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণকে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেন চম্পাই। বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে ফের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান চম্পাই সোরেন। কিন্তু ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চম্পাই কখন শপথ গ্রহণ করছেন, সেবিষয়ে কিছুই জানাননি রাজ্যপাল। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যপাল কেন কিছু এখনও জানাচ্ছেন না। তাহলে কী সাংবিধানিকভাবে কোনও অসুবিধা রয়েছে, সেবিষয়েও কিছু জানানো হচ্ছে না রাজভবনের তরফে।
এদিকে ৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার রয়েছে ৪৭ জন বিধায়ক। ইতিমধ্যে এই ৪৭ জনের মধ্যে ৪৩ জনের ছবি প্রকাশ করেছে জেএমএম। তবে চার জন বিধায়ক কোথায় রয়েছেন, সেবিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরোনোর সময় চম্পাই জানান, ৪৩ জন বিধায়ক ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আমরা রাঁচির সরকারি গেস্ট হাউসে রয়েছি। চম্পাই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসার পরই জেএমএম ও ক্ংগ্রেস বিধায়কদের হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। একে একে বিধায়কদের রাঁচি বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে দুই চার্টার্ড বিমানে করে তাঁদের হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে বিধায়কদের জন্য বাস রাখা হয়েছে। সেই বাসে করেই বিধায়কদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।