নিজস্ব প্রতিনিধি: টিকা দানের সময় যারা ইতিমধ্যেই মৃত অথবা যারা সেই দিন টিকা পাননি তাঁদের নামেও কী শংসাপত্র জারি করা হচ্ছে? শুক্রবার লোকসভায় প্রশ্নত্তোর পর্বে এই প্রশ্নই করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর আরও প্রশ্ন ছিল, ওই দিন যে আড়াই কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল, তাতে এই সংখ্যাটি অন্তর্ভুক্ত ছিল কিনা? যদি তাই হয়, তার বিস্তারিত জানানো হোক। পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি জানতে চান, এই ধরনের ত্রুটির যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীন পাওয়ার দায় এড়িয়েও স্বীকার করে নিয়েছেন যে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে এই ধরণের ত্রুটি লক্ষ্য করা গিয়েছে, তবে তা সবটাই টিকাকর্মীদের দ্বারা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর যুক্তি, করোনার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সময় টিকাকর্মীদের দ্বারা সিস্টেম আপডেট করার সময় বা টিকা গ্রহনকারীদের নাম নথিভূক্ত করার সময় এই জাতীয় ভুল করেছেন।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর যুক্তি, কো-উইন অ্যাপে মোবাইল নম্বর, যে কোনও একটি ফটো আইডি কার্ডের মাধ্যমেই নাম নথিভূুক্ত হয়। এবং প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গেলেই তাঁর নাম দ্বিতীয় ডোজের জন্য তাঁর নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে নথিভূক্ত হয়ে যায়। এবং নির্দিষ্ট সময়ে তাঁর মোবাইল নম্বরে মেসেজ চলে যায়। এবং দ্বিতীয় ডোজের সময় প্রত্যেক টিকাগ্রহনকারীকে ফটো আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হয়।
ফলে এক্ষেত্রে ভুলের মার্জিন অনেকটা কম হয়। তিনি আরও বলেন, ভুলের মার্জিন আরও কমানোর জন্য এখন চার সংখ্যার একটি ওটিপি চালু করা হয়েছে। যা ওই ব্যক্তির নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে আসবে। যা দ্বিতীয় ডোজ টিকার সময় টিকাকর্মীকে জানাতে হয়। কেন্দ্রের বক্তব্য, রাজ্য সরকারি কর্মীরাই মূলত টিকা প্রদান পরিচালনা করেন। ফলে ডেটা এন্ট্রিতে কোনও ভুলচুক হলে দায় তাঁদের।