নিজস্ব প্রতিনিধি, প্রয়াগরাজ: মঞ্চে নাচতে নাচতে মৃত্যুর খবর এল এবার উত্তরপ্রদেশ থেকে। দশেরা উপলক্ষ্যে এখানকার জাউনপুরে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে শিবের বেশে আরতিনৃত্য প্রদর্শন করছিলেন স্থানীয় শিল্পী রাম প্রসাদ আকা চবন পাণ্ডে। আচমকাই তিনি মারাত্মক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বুকে অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হলে রাম প্রসাদ বুকে হাত দিয়ে মঞ্চে বসে পড়েন। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার কয়েকদিন আগে প্রায় একই ধরনের তিনটি ঘটনা ঘটে। একটি ঘটনা ফতেহপুরের, দ্বিতীয়টি অযোধ্যার আইহার গ্রামে।প্রায় একই ধরনের ঘটনার সাক্ষী ছিল জম্মু-কাশ্মীর। মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করতে করতে প্রত্যেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মঞ্চেই তাদের মৃত্যু হয়।
অযোধ্যায় রামলীলা ময়দানে ৬০ বছরের পাতিরাম রাবণের বেশ ধরে নৃত্য পরিবেশন করছিলেন। নৃত্য পরিবেশন করাকালীন পাতিরাম মারাত্ম হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মঞ্চেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ফতেহপুরে রামলালীর মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করছিলেন রাম স্বরূপ। নৃত্য পরিবেশন করতে করতেই রাম স্বরূপের বুকে যন্ত্রণা শুরু হয়। অনুষ্ঠানস্থলে থাকা দর্শক এবং বাকিরা রাম স্বরূপকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ধর্মান্ধরা মতে, এরা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান। তাই, ঈশ্বর তাদের ভালোবেসে ডেকে নিয়েছে। একমাত্র যারা সৌভাগ্যশালী, এমন মৃত্যু তাদেরই হয়।
যদিও তাদের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, যে কোনও মানুষ যে কোনও সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এই সব ঘটনা তারই প্রমাণ।