আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে এমনিতেই অস্বস্তিতে কেন্দ্র। তাদের সেই অস্বস্তি আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। তারা তাদের অনলাইন এই তল্লাশির খবর প্রকাশ করতে গিয়ে জানিয়েছে, ভারতের ক্ষমতায় আসীন সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে বিরুদ্ধ কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়ার। হেনস্থা করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা, বিরোধী নেতা, সাংবাদিক (মোদি বিরোধী), সংবাদসংস্থাকে। খবরের পাশাপাশি এই আয়কর হানা নিয়ে কারা কী টুইট করেছে সেটাও তারা তাদের প্রতিবেদনে জুড়ে দিয়েছে। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট লিখেছে – বলা হচ্ছে, মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র মনগড়া এবং একপেশে। অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়। গুজরাত দাঙ্গার পর ব্রিটেন সরকার একটি তদন্ত করে। সেই তদন্ত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই বিবিসি ওই তথ্যচিত্র তৈরি করেছে। সুতরাং, তথ্যচিত্রে তথ্যে বিকৃতি ঘটানো হয়েছে বলে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
বিবিসির দফতরে আয়কর হানার নিন্দা করে ভারতের কারা টুইট করে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, সেটাও তারা তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে। টুইট করেছেন রানা আয়ুব, তৃণমূলের মহুয়া মিত্র, স্বাতী চতুর্বেদী। ট্যাগ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এদিনের একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে কেন্দ্রে ফের আসীন হবে মোদি সরকার। বিবিসি জানিয়েছে, দিল্লিতে তাদের দফতরের কর্মীরা ভারতের আয়কর দফতরের কর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে।
আরও পডুন বিবিসির দিল্লি ও মুম্বই অফিসে আয়কর হানা, সাংবাদিকদের ফোন বাজেয়াপ্ত