নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের আগে চলতি বছরের শেষের দিকে হতে চলা পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। তাই আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশের ভোপালে জোটের প্রথম প্রকাশ্য সমাবেশ হবে। জোটের শরিক দলগুলির শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা ওই সমাবেশে অংশ নেবেন। বুধবার এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের বাড়িতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমন্বয় সমিতির প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই প্রকাশ্য সমাবেশ থেকেই মোদি সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়ানো হবে।
এ দিনের বৈঠকে কংগ্রেস, শিবসেনা, আরজেডি-সহ মোট ১২টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কে সি বেনুগোপাল, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি, তেজস্বী যাদব, সঞ্জয় রাউত, টি আর বালু, হেমন্ত সোরেন, রাঘব চাড্ডা, ডি রাজা, জাভেদ আলি ও সঞ্জয় ঝা। তবে কলকাতায় ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কারণে বৈঠকে হাজির হতে পারেননি তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আসন খালিই রাখা হয়েছিল। সমিতির সদস্য হলেও ‘রহস্যজনক’ কারণে গরহাজির ছিল সিপিআইএম। বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলবের নিন্দা জানান জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিতে শুরু করেছেন।’ বৈঠক শেষে অভিষেকের তলবের নিন্দা জানিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে লোকসভা ভোটে লড়ার জন্য আসন সমঝোতা নিয়েও আলোচনা হয়। যদিও ওই আলোচনা প্রাথমিক স্তরেই রয়েছে। পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে জাতিগত জনগণনাকেও সমর্থন জানানো হয়। গোটা দেশজুড়ে যাতে জাতিগত জনগণনা হয়, সেই দাবিতে সরব হওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।