নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়খণ্ড: ভেস্তে গেল বিজেপির ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলে দেওয়ার ছক।
আস্থাভোটে জিতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন। সরকার কোনওভাবেই ফেলতে পারবে না বুঝতে পেরে বিজেপি সভা ওয়াকআউট করে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে -প্রথমে বিহারে নীতীশ কুমারকে সরিয়ে দিয়ে মসনদ দখল করতে চেয়ে মুখ পুড়িয়েছিল বিজেপি। এবার দ্বিতীয়বার তাদের মুখ পুড়ল। সরকার ফেলার এই অপচেষ্টা তারা বন্ধ না করলে আগামীদিনে তাদের আরও বেগ পেতে হবে। দেশবাসীর একাংশ এমনিতেই কেন্দ্রে আসীন শাসকদলের ওপর বীতশ্রদ্ধ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামছাড়া। দাম বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের। বাড়ছে বেকারত্ব। সেই সব দিকে নজর দেওয়ার পরিবর্তে বিজেপি এখন সরকার ফেলার খেলায় মেতেছে।
খনি লিজ ‘দুর্নীতি’তে নাম জড়িয়েছে হেমন্তের। এই মামলায় সোরেনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়েছেন এক বিজেপি বিধায়ক। নির্বাচন কমিশন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসকে চিঠি দিয়ে হেমন্ত সোরেনের বিধায়কপদ খারিজের দাবি জানিয়েছেন। যদিও সেই চিঠি এখনও খামবন্দি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর সাফ দাবি, বিজেপি চাইছে যে কোনও উপায়ে ঝাড়খণ্ড দখল করতে। চাইছে টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনতে। যদিও দলের সব বিধায়ক তাঁর পাশেই আছে। আর সেটা তিনি সোমবার বিধানসভায় প্রমাণ করবেন।
সোমবার হেমন্ত সোরেন প্রমাণ দিলেন তাঁর ওপরেই দলের আস্থা রয়েছে।