এই মুহূর্তে




পরবর্তী প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত, শপথ নেবেন ২৪ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশের ৫৩তম প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে বর্ষীয়ান বিচারপতি সূর্য কান্ত শর্মা। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) তাঁকে প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আগামী ২৩ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাই অবসর নিচ্ছেন। পরের দিন অর্থা‍ৎ ২৪ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেবেন সূর্যকান্ত। এদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘাওয়াল সমাজমাধ্যম ‘এক্স’ হ্যান্ডলে এক টুইটে জানিয়েছেন, ‘ভারতের সংবিধান কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতি  সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্তকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করতে পেরে আনন্দিত। প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার জন্য বিচারপতি সূর্য কান্তকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ উল্লেখ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাই নিজের উত্তরসূরি হিসাবে বিচারপতি সূর্য কান্তের নাম সুপারিশ করেছিলেন।

কে বিচারপতি সূর্য কান্ত শর্মা?

ভারতের ৫৩তম প্রধান বিচারপতি হতে যাওয়া সূর্য কান্ত শর্মার  জন্ম ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। হরিয়ানার হিসার জেলার পেটওয়ার গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৮১ সালে হিসারের সরকারি স্নাতকোত্তর কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পরে ১৯৮৪ সালে রোহতকের মহাঋষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হন। ২০১১ সালে কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৪ সালেই হিসারের জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিশ শুরু করেন। পরে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসাবে কাজ  করতে চণ্ডীগড়ে চলে যান। প্রকাশ সিং বাদল মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে পঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পান সূর্যকান্ত শর্মা। ২০০০ সালের ৭ জুলাই থেকে ২০০৪ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন।

২০০৪ সালের ৯ জানুয়ারি পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পান সূর্যকান্ত। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টেই ছিলেন। ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ২৩ মে পর্যন্ত সেখানে দায়িত্ব সামলেছিলেন। ২০১৯ সালের ২৪ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

গত ছয় বছরে দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসাবে হাজারেরও বেশি মামলা শুনেছেন সূর্যকান্ত। মানবাধিকার, লিঙ্গ অধিকার–সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন। ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের যে সাংবিধানিক বেঞ্চ জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিল, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন বিচারপতি সূর্যকান্ত শর্মা। বিচারপতির পাশাপাশি পদাধিকার বলে তিনি নালসার (ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিস অথরিটি) কার্যকরী চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন। ৫৩তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে ২০২৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি সূর্যকান্ত। অর্থা‍ৎ প্রধান বিচারপতি হিসাবে তাঁর কার্যকাল হবে ১৪ মাসের মতো।

 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কী কাণ্ড! স্যুটে QR কোড লাগিয়ে অতিথিদের কাছে ‘উপহার’ চাইলেন কনের বাবা, ভাইরাল ভিডিও

মহিলাকর্মীদের ঋতুস্রাব হওয়ার প্রমাণ চাইল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, হুলস্থুল বিজেপি শাসিত হরিয়ানায়

ফের কাশির সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা মধ্যপ্রদেশে, এবারে বলি ৬ মাসের কন্যাসন্তান

‘পাক সন্ত্রাসীরা এখন ভারতের শক্তি সম্পর্কে অবগত’, একতা দিবসের ভাষণেও অপারেশন সিঁদুর অস্ত্র মোদির

ব্যাঙ্ক, জিএসটি, আধার ও পেনশন, ১ নভেম্বর থেকে ৪ ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন, কী কী নিয়ম মানতে হবে?

ছেলের মৃত্যু হলেই মিলবে ১ কোটি, অবৈধ সম্পর্ক টেকাতে পুত্রঘাতী মা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ