নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং পরবর্তী লোকসভা ভোটের সময় অর্থাৎ ২০২৯ সালে যাতে ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আইন কমিশন। এ বিষয়ে আইনগত জটিলতা কাটিয়ে সমাধান সূত্রের খোঁজে এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গঠন করেছেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্তি।
২০১৪ সালে প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদি ‘এক দেশ এক ভোট’ তত্ত্ব সামনে এনেছিলেন। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট সেরে ফেলার পিছনে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি হল, এতে নির্বাচনের খরচ কমবে। একটি ভোটার তালিকাতেই দু’টি নির্বাচন হওয়ায় সরকারি কর্মীদের তালিকা তৈরির কাজের চাপ কমবে। ভোটের আদর্শ আচরণ বিধির জন্য বার বার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকবে না। মোদির ওই সিদ্ধান্তকে খুল্লামখুল্লা সমর্থন জানিয়েছিল নীতি আয়োগ, আইন কমিশন, নির্বাচন কমিশনে বসা ‘আজ্ঞাবহ ভৃত্য’রা। গত জুলাই মাসে লোকসভার বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকরের দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, আইন কমিশনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চটজলদি ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি কার্যকর সম্ভব নয়। আগামী বছর লোকসভা ভোটের সঙ্গে বিধানসভা ভোট করতে হলে আইনগত জটিলতা দেখা যাবে। ওই আইনগত জটিলতা কাটাতে সময়ের প্রয়োজন।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি কার্যকর করার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ওই কমিটির প্রথম বৈঠকও হয়েছে।