নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈঠকের আগে বৃহত্তম জোট শরিককে বার্তা দিল কংগ্রেস(INC)। বৈঠক রয়েছে আগামিকাল। দিল্লিতে। দেশের বিজেপি বিরোধী মহাজোট INDIA’র চতুর্থ বৈঠক। সেই বৈঠকের আগে জোটের সব থেকে বড় শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেসকেই(TMC) বার্তা দিল জোটের পরিচালক কংগ্রেস। এদিন অর্থাৎ সোমবার সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের(Derek O’Brien) শাস্তি প্রত্যাহার চেয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে(Jagdeep Dhankar) চিঠি দিলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা তথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে(Mallikarjun Kharge)। ধনখড়কে পাঠানো চিঠিতে সংসদে হানার ঘটনার কথা উল্লেখ করে ডেরেকের তোলা দাবিকে যুক্তিযুক্ত বলেছেন খাড়্গে। শুধু ডেরেককে সমর্থনই নয়, চলতি অধিবেশনে বেশ কয়েক বার পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়েই নরেন্দ্র মোদির সরকারকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। তবে সোম সকালের ঘটনাকে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস-তৃণমূলের ফের কাছাকাছি আসাকেই তুলে ধরছে যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। একই সঙ্গে বিজেপি কাছেও যথেষ্ট উদ্বেগের।
গত সপ্তাহে বুধবার সংসদে জঙ্গি হামলার বর্ষপূর্তিতে নতুন সংসদ ভবনে হানা দেয় কয়েক জন যুবক-যুবতী। সেই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে সংসদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেন বিরোধী দলের সাংসদেরা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সংসদে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক-সহ অন্য দলের সাংসদেরা। তিনি ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখালে তাঁকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড়। ডেরেকর সঙ্গেই সাসপেন্ড হয়েছিলেন আরও ১৪ জন সাংসদ। সাসপেন্ড হওয়ার পর শুক্রবার ডেরেক সংসদ চত্বরে ধর্না দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন তখন তাঁকে সমর্থন জানলে এসেছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল। এই ইস্যুতে যে কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূলের পাশেই থাকবে, সেই বিষয়ে ইঙ্গিত মিলেছিল বেনুগোপালের উপস্থিতিতে। কারণ, কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেনুগোপাল বরাবরই রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাই শুক্রবারে বেনুগোপালের উপস্থিতি এবং সোমবার সরাসরি ডেরেকের পক্ষ নিয়ে ধনখড়কে খাড়্গের চিঠি দেওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কে নতুন করে জোটের সমীকরণের চিত্রই ধরা পড়েছে বলে মনে করছে জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।