নিজস্ব প্রতিনিধি: আক্রমণ প্রত্যাশিতই ছিল। সেটাই ধেয়ে এল ছাপান্ন ইঞ্চির ছাতির দিকে। আর সেটাও তাঁর গড়ের জমি থেকে। আক্রমণ শানলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যাকে বাংলার মানুষ ‘অগ্নিকন্যা’ নামেই চেনেন। তাঁর অগ্নিবাণে এদিন কাশীধামে বিধ্বস্ত হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। ইউক্রেন ইস্যু থেকে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কারখানার বেসরকারিকরণ নিয়ে মোদিকে তীব্র আক্রমণ শানলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বারাণসীর(Varanasi) মাটিতে দাঁড়িয়ে সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের(Akhilesh Yadav) সমর্থনে বৃহস্পতিবার যে সভা করলেন মমতা তা কার্যত উত্তরপ্রদেশের ভোট রাজনীতিতে তীব্র বিজেপি(BJP) বিরোধী ঝড় তুলে দিল। মোদি গড়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে এভাবে এত তীব্র ভাবে কেউ এর আগে আক্রমণ শানতে পারেননি। মমতা কিন্তু সেসবের পরোয়া করেননি। তাঁর তীব্র বাক্যবাণে বিদ্ধ করে গিয়েছেন মোদিকে(Narendra Modi)। তাঁকে লক্ষ্য করে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের ভোটে লড়ছে না তৃণমূল। কিন্তু মমতা তাঁর পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে দিয়েছেন ছোট ভাই অখিলেশের প্রতি। তাঁর সমর্থনে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে এর আগে সাংবাদিক বৈঠক করছেন মমতা। তবে তা হয়েছিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে। কিন্তু এবার করলেন প্রকাশ্য সভা আর তাও মোদির বারাণসীতে। সেই সভা থেকেই আক্রমণ শানলেন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে। সোজা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে আর মোদি রাজনৈতিক সভা করছে। আটকে পড়া পড়ুয়াদের না ফিরিয়ে মোদি রাজনৈতিক সভা করছেন। মোদির সঙ্গে পুতিনের যদি ভালো সম্পর্ক হয় তাহলে ফেরাচ্ছেন না কেন? ইউক্রেন থেকে পড়ুয়ারা নিজেরা আসবেন কেন? ওদের না ফিরিয়ে সভা করছেন মোদি। কারও প্রাণ গেলে তার দায় কে নেবে? দ্রুত পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনুন। আচ্ছে দিনের নমুনা দেখছে দেশ। আচ্ছে দিনের নামে সব বিক্রি। ব্যাঙ্ক রেল বিমান সব বেচে দিচ্ছে। এটা ভারত সরকার নয়, বেচারাম সরকার।’