নিজস্ব প্রতিনিধি, ইম্ফল: অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর। জমছে লাশের পাহাড়। মাসাধিককাল ধরে অশান্তি চলা সত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ প্রশাসন। সেনা, আধা সেনা নামিয়েও শান্তি ফেরানো যায়নি। প্রাণ ভয়ে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছেন। রাজ্যের পুলিশ কর্মীরাও ডিউটিতে ফিরতে ভয়ে পাচ্ছেন। কার্যত গত মাসাধিককালের ঘটনা প্রবাহ প্রমাণ করে দিয়েছে, উত্তর পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যে শান্তি ফেরাতে চরম ব্যর্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কার্যত ল্যাজেগোবরে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশ্বস্ত পাত্র। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ‘রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে গিয়ে আফস্পা তুলে দিয়ে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে নতুন করে অশান্তির আগুন জ্বালানোর সুযোগ করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।’
গত ৩ মে মেইতেই বনাম কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয়েছে রক্তক্ষয়ী লড়াই। ওই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার রাতেই রাজ্যের একমাত্র মহিলা মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই চলছে। গত ২৯ মে মণিপুরে গিয়ে শান্তি ফেরানোর জন্য একাধিক বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কিন্তু ওই বৈঠক অশ্বডিম্ব প্রসব ছাড়া আর কিছুই হয়নি। কেননা, শাহের বৈঠকের পরে মণিপুরে অশান্তি দাবানলের মতো ছড়িয়েছে। গত মঙ্গলবার খামেনলোকে জঙ্গিদের গুলিতে একইসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন নিরীহ গ্রামবাসী। সময় যত গড়াচ্ছে ততই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, মণিপুরে অকারণে হস্তক্ষেপ করতে গিয়েই পরিস্থিতি ঘোরালো করে ফেলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।