নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উত্তরপ্রদেশের যে স্কুলটিতে সংখ্যালঘু ছাত্রকে অন্য সহপাঠীদের দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল, এবার সেই স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হল। তদন্তের স্বার্থে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। নোটিশ দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। স্কুলে পাঠরত শিশুদের কাছাকাছি স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে পড়াশোনায় কোন ক্ষতি না হয়।
ভিডিওটিতে দেখা যায়,শিক্ষিকার নির্দেশে একজন শিশুকে লাইন করে অপর শিশুরা চড় মারছেন। তাঁর গাল লাল হয়ে যেতে মুখ বাদ রেখে মারার নির্দেশ দেন শিক্ষিকা। এরপরেই ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছে। পাশাপাশি মুসলিম মহিলাদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করারও অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি জানিয়েছে, একঘণ্টা তাঁকে এভাবে মারা হয়েছে।
এরপরেই মুখ খুলেছিলেন শিক্ষিকা। তিনি জানিয়েছিলেন, শারীরিক অক্ষম তাই বাকি পড়ুয়াদের মারার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ অস্বীকার করেছেন তিনি। শিশুটি দুইমাস ধরে একটি পড়া করছিলনা। পূর্বে তাঁর বাবা কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। শিশুটির ভাই এই ভিডিও করে প্রকাশ করেছে। তাঁর খারাপ উদ্দেশ্যে ছিলনা বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষিকা।
শিশুটির বাবা জানিয়েছে, “আমার ছেলের বয়স সাত। শিক্ষক আমার সন্তানকে ছাত্রদের বারবার মারধর করার নির্দেশ দিয়েছে। আমার ভাই এর ছেলে ভিডিও করেছে। সে কোনো কাজে স্কুলে গিয়েছিল। আমার সাত বছরের শিশুটিকে এক-দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করা হয়েছে। এটা হিন্দু-মুসলিম ইস্যু নয়। আমরা চাই আইন তার নিজস্ব গতিপথ গ্রহণ করুক” । তিনি তার সন্তানকে আর এই স্কুলে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।