এই মুহূর্তে




স্বামীর কাছে যাওয়া হলো না, বিমান দুর্ঘটনা কাড়ল নববধূর জীবন




নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন নববধূ খুশবু, কিন্তু এক ঝটকায় সব শেষ। আর স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া হল না খুশবুর। আজ (১২ জুন) ভারতের বুকে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আহমেদাবাদ বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়নের ১০ সেকেন্ড পরই এক ঘন বসতি এলাকায় পড়ে গিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং লন্ডনগামী বিমান। বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বোয়িং বিমান টি। কিন্তু আচমকাই ৬৮৫ ফুট নিচে মেঘানি নগর এলাকায় আছড়ে পড়ে যায় বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গেই ভয়ানক বিস্ফোরণে পুরো বিমানটি গুঁড়িয়ে যায়। এই মূহুর্তে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে বেঁচে নেই কেউ। সকলেই ঝলসে গিয়েছেন। পাশাপাশি যে অঞ্চলে বিমানটি ভেঙে পড়েছে এই অঞ্চলের বাড়ি ঘরও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এবং বহুতল নির্মীয়মাণ মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ছাদে ধসে পড়ে বিমানটি।

যাতে মারা গিয়েছেন ৭ জন হবু চিকিৎসক।তবে এখনও বিমানটির কেন বিস্ফোরণ হল তা জানা যায়নি। বিমানে ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ১২ জন ক্রু সদস্য ছিল, ১৩ জন শিশু ছিল এবং ৫৯ জন বিদেশী যাত্রী ছিলেন। এছাড়াও বিমানে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ছিলেন। কেউই এখন বেঁচে নেই। এই যাত্রীদের মধ্যেই ছিলেন খুশবু রাজপুরোহিত, যিনি একজন নববিবাহিত কনে ছিলেন, যিনি তার স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে যাচ্ছিলেন। রাজস্থানের বালোতারা জেলার আরাবা গ্রামের বাসিন্দা খুশবুর এই বছরের জানুয়ারিতে মনফুল সিংহের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের পরেই পেশাগত প্রতিশ্রুতির কারণে খুশবুর স্বামী লন্ডনে চলে যান। সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। বিয়ের পর একসঙ্গে থাকতে পারেননি বেশিদিন। তাই বিয়ের পর প্রথম বারের মতো স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন খুশবু। খুশবু ছিলেন আরাবার বাসিন্দা মদন সিংহ রাজপুরোহিতের মেয়ে। আজ আহমেদাবাদ বিমানে সব শেষ করে চলে গেলেন।

যদিও আজকের দুর্ঘটনায় রাজস্থানের জন্য মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি. রাজ্যের ১১ জন বিমানে ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ছিলেন যারা যুক্তরাজ্যে রাঁধুনি হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছিলেন এবং একজন মার্বেল ব্যবসায়ীর ছেলে ও মেয়ে ছিলেন। লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার AI-171 বিমানটি আহমেদাবাদে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরেই বিধ্বস্ত হয়ে অনেক আশা ও স্বপ্নের অবসান ঘটিয়েছে। একজন নগর পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেউ বেঁচে নেই। লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি কোনও যাত্রাবিরতি করেনি এবং ১০ ঘন্টার যাত্রায় ৮০-৯০ টনেরও বেশি অত্যন্ত দাহ্য বিমান জ্বালানি বহন করছিল। দুর্ঘটনার ফলে এটি একটি বিশাল কমলা রঙের আগুনের গোলায় পরিণত হয়। বিমানটি প্রায় ৬২৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছনোর পর হঠাৎ করেই এটি নিচে নামতে শুরু করে। সবকিছু নিস্তব্ধ হওয়ার আগে পাইলটের পক্ষ থেকে একটি মে ডে সংকেত দেওয়া হয়েছিল Atc তে। বিশাল কমলা রঙের আগুনের গোলাটি আকাশে বিস্ফোরিত হয়, যা প্রায় মাইল দূর থেকে দেখা যায়। বিমানটিতে ক্রু সদস্যসহ ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডিয়ান এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফাঁকা ট্রেনে মহিলাকে গণধর্ষণের পর ছুঁড়ে ফেলা হল চলন্ত ট্রেনের সামনে, নারকীয় ঘটনা হরিয়ানায়

‘ড্রিমলাইনার সবচেয়ে নিরাপদ’, বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদীয় সমিতিকে সাফাই এয়ার ইন্ডিয়ার

বিহারে সরকারি চাকরিতে মেয়েদের ৩৫% সংরক্ষণ! মহিলা ভোট টানতে নয়া চাল নীতীশের

দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে NRC নোটিশ, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

ভূত তাড়ানোর নামে মাকে পিটিয়ে মারল ছেলে

তামিলনাড়ুতে রেললাইন পার হওয়া স্কুলবাসে ট্রেনের ধাক্কা, ৩ শিশুর মৃত্যু

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ