নিজস্ব প্রতিনিধি : সাংবিধানিক গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই ত্রুটিমুক্ত নয়। যার মধ্যে রয়েছে কলেজিয়ামও। এর সমাধান হল, বর্তমান ব্যবস্থাকেই চালিয়ে নিয়ে যাওয়া। এক অনুষ্ঠানে এই মত প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
আজ, ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস। তার আগে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান বিচারপতি। সেখানেই কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে চলতে থাকা দীর্ঘদিনের বিতর্ক প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘সাংবিধানিক গণতন্ত্রে কোনও সংগঠনই নিখুঁত নয়। তবু আমাদের কাজ করতে হয় যে ব্যবস্থা চালু রয়েছে, তাকে নিয়েই। সংবিধানে বর্ণিত কাঠামো অনুসরণ করে’। কলেজিয়ামের সমস্ত সদস্যকে ‘বিশ্বাসী সেনা’ বলে আখ্যা দেন তিনি। তাঁর বার্তা, সমস্ত অপূর্ণতাকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। কেন্দ্র ও বিচার বিভাগের মধ্যে কলেজিয়াম নিয়ে টানাপোড়েন অনেক দিনের। গত বছরের এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, কলেজিয়ামের সুপারিশ পাওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই বিচারপতিদের নিয়োগ করতে হবে শীর্ষ আদালতের। সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগের দায়িত্ব কলেজিয়ামের। কিন্তু তাদের সুপারিশ সত্ত্বেও আপত্তি জানাতে পারে কেন্দ্র। এই নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এদিন প্রধান বিচারপতির মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সেই সঙ্গে দক্ষ বিচারক বা বিচারপতি কী করে হওয়া সম্ভব সে বিষয়েও নিজের মতামত জানান চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, ‘সুবিচার হল সহমর্মিতা, সুবিচার হল মানুষের সমস্যাকে বোঝা। যে বিষয়ের সঙ্গে আপনি একমত নন, সেখানেও এটা বজায় রাখতে হবে। সুবিচারের অর্থই হল একজন অপরাধী কী করে অপরাধী হল তা বুঝতে পারা’।