নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনার চোখ রাঙানির মাঝেই ওমিক্রনের হানায় চাপে দেশের স্বাস্থ্য মহল। করোনার রিপোর্ট এখন সহজলভ্য হলেও, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে ভরসা সেই জিন পরীক্ষাই। আর এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনাল আইসিএমআর। এবার আর জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর উপর ভরসা করে নয়, ওমিক্রন ধরতে আনা হল দেশীয় কিট। আইসিএমআর-এর তরফে মঙ্গলবারই ঘোষণা করা হয়েছে টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়গোনেস্টিক দেশীয় পদ্ধতিতে বানিয়েছে ওমিক্রনের টেস্ট কিট। ‘ওমিসিউর’ নামের এই টেস্ট কিটেই এবার দেশে হবে করোনার নয়া প্রজাতির পরীক্ষা। অর্থাৎ করোনা ধরা পড়ার পরেই ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা! সেই খোঁজ চালাতে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছিল চিকিৎসকদের। এছাড়াও জিনোম টেস্টের জন্য খরচ ছিল ব্যয়বহুল। সেই দিক দিয়ে টাটার বানানো এই কিট দ্রুত ও কম খরচে ওমিক্রনের উপস্থিতির কথা জানাবে।
ওমিক্রন শনাক্ত করতে ভরসা ছিল সেই জিনোম টেস্ট। কিন্তু টাটার সাহায্যে নতুন কিট হাতে এল দেশবাসীর কাছে। ওমিক্রনকে শনাক্ত করতে মার্কিন সংস্থা থার্মো ফিশারের টেস্ট কিট ব্যবহার করা হচ্ছে গোটা দেশে। যার ব্যবহার বেশ খরচ সাপেক্ষ। সাধারণ ভাবে কোভিড ভাইরাসের ক্ষেত্রে যে তিনটি জিন শনাক্ত করা হয়, সেগুলি হল এস-জিন, এন-জিন ও ই-জিন। কিন্তু ওমিক্রন স্ট্রেনের ক্ষেত্রে এস-জিনটিকে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ থার্মো ফিশারের টেস্ট কিট। সেদিক দিয়ে এগিয়ে ভারতের তৈরি নতুন কিট। ওমিক্রনের এস-জিনকে শনাক্ত করতে পারে টাটার তৈরি ‘ওমিসিউর’।