নিজস্ব প্রতিনিধি : জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সংসদের উভয় কক্ষ। শুক্রবার লোকসভা ও রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করল বিরোধী দলের সাংসদরা।
এদিন সংসদের উভয় কক্ষে হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে সরব হন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারকে অবৈধ বলে দাবি করেন বিরোধী সাংসদরা। এদিন বিরোধী দলের সাংসদরা সংসদের ভিতর হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সাংসদদের হইহট্টগোলের জেরে অধিবেশনের কাজ ব্যাহত হয়। শেষ পর্যন্ত অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিরোধী দলের সাংসদরা। এদিন বিরোধী দলের সাংসদরা অভিযোগ তোলেন, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোনও ব্যবস্থা নেননি রাজ্যপাল।
এদিন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ জানিয়ে মল্লিকার্জুন খারগে জানান, হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ইস্তফাপত্র পেশ করার পর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেবিষয়ে রাজ্যপালকে জানানো হয়েছিল। ৪৩ জন বিধায়কের সই করা একটি কাগজ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনন কোনও ব্যবস্থা নেননি। শেষপর্যন্ত ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করার পর জেএমএমের নতুন নেতা চম্পাই সোরেনকে ডাকা হয়। কিন্তু সেইসময় তাঁকে সরকার গঠনের জন্য ডাকা হয়নি। শেষপর্যন্ত চম্পাই সোরেনকে শুক্রবার শপথগ্রহণ করালেন রাজ্যপাল। তবে খাড়গের ওই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েলকে। তাঁর মতে, রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে অধিবেশনে আলোচনা করা যায় না।