এই মুহূর্তে




পতঞ্জলির ১৪টি পণ্যের বিজ্ঞাপন মুছে ফেলতে হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: গেরুয়া শিবিরকে বড় ধাক্কা দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। যোগগুরু রামদেবের(Ramdev) পতঞ্জলি(Patanjali) আয়ুর্বেদ সংস্থার ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ফের কড়া পদক্ষেপ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে উত্তরাখণ্ড সরকারের লাইসেন্সিং বিভাগ পতঞ্জলির যে ১৪টি পণ্য উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে Digital News Media, Social Media এবং অন্যান্য মাধ্যম থেকে সেগুলির বিজ্ঞাপন(Advertise) চিরতরে মুছে ফেলতে হবে। ওই প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন প্রত্যাবার সংক্রান্ত পুরো বিষয়টি নজরদারির ভার থাকবে Indian Medical Association বা IMA’র ওপর। এদিন এই রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ।  

২০২০ সালের ২৩ জুন প্রথম বার করোনিল কিট বাজারে এনেছিল পতঞ্জলি। ‘করোনিল’ এবং ‘শ্বাসারি বটি’ নামে দু’ধরনের ট্যাবলেট এবং ‘অণু তৈল’ নামের ২০ মিলিলিটারের একটি তেলের শিশি নিয়ে তৈরি ওই কিটের দাম রাখা হয়েছিল ৫৪৫ টাকা। চাইলে আলাদা ভাবে ট্যাবলেট এবং তেল কেনা যাবে বলেও জানানো হয়েছিল। তার পর ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৩ লক্ষ ৫৪ হাজার করোনিল কিট বিক্রি হয়েছে বলে সংস্থার তরফে বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল। সেই বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল IMA। তাঁদের অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও আনা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। আর তার জন্য ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার চালানো হয়েছিল।

ওই মামলায় গত বছরের নভেম্বরে পতঞ্জলিকে বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসাবে নিজেদের ওষুধ সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ প্রচার করার বিষয়ে সতর্ক করেছিল শীর্ষ আদালত। জরিমানা হতে পারে বলেও মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল। সেই মামলাতেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রের নিন্দা করে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানি চলাকালীন পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এই ধরনের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গোটা দেশকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সেই সময়ে দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘সরকার চোখ বন্ধ করে বসে আছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ মামলার জেরে পতঞ্জলির ১৪টি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন ওই মামলায় পতঞ্জলির আইনজীবী মুকুল রোহাতগি শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিজ্ঞাপনগুলি Digital Medium থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। যদিও শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, শুধু Digital Medium থেকে প্রত্যাহার করলেই হবে না, ওই সব বিজ্ঞাপন অবিলম্বে Digital News Media, Social Media এবং অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে নিতে হবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চা-বিস্কুটের পেছনে খরচ ৮ লক্ষ ! বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য দেখলে চমকে উঠবেন

ডিগ্রি পেলেই লক্ষ লক্ষ টাকার প্যাকেজ, কোন কোর্সে মিলবে এমন সুযোগ?

শৌচারগারে নার্সের রহস্যমৃত্যু , খুন নাকি আত্মহত্যা ! বাড়ছে জল্পনা

নয়দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় ১২ বছরের দত্তক পুত্রকে হারালেন এক নিঃসন্তান দম্পতি

হাতে হাতকড়া, পায়ে শিকল বেঁধে আরও ১২০ ভারতীয় অভিবাসীকে পাঠালেন বর্বর ট্রাম্প

‘বাবা, এটাই আমার শেষ ফোন…’, মিথ্যা খুনের অভিযোগে দুবাইয়ে ভারতীয় মহিলার মৃত্যুদণ্ড

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর