নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। আর তার পরেই একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে, তেমনই শেয়ারবাজারে ধসও নেমেছে। কয়েক লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitaraman) ছাড়াও অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন।
পিএমও সূত্রে জানা গিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে ইউক্রেন। ফলে ওই দেশে আটকে পড়া কয়েক হাজার ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উদ্বেগ্ন হয়ে পড়েছেন আটকে পড়া ভারতীয়দের পরিবার পরিজনরা। কীভাবে তাঁদের ফেরানো যাবে, তার পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর চেয়েও দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দামন যাতে না বাড়ে তা নিশ্চিত করাই এখন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা, এখনও উত্তরপ্রদেশে তিন দফা ভোট বাকি। তেলের দাম বাড়লে বিরোধীরা নতুন করে হাতিয়ার পেয়ে যাবেন। তাছাড়া মূল্যবৃদ্ধি লাগামহীন হয়ে পড়লে ইভিএমেও তার প্রভাব পড়বে।
পাশাপাশি এদিনই শেয়ারবাজার বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। একদিনে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা খুইয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। দেশের সব নামী-দামী সংস্থার শেয়ারদরে পতন ঘটেছে। আগামিকাল শুক্রবার সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে যাতে বাজার ফের ধসে না যায়, তা নিশ্চিত করার পথও খোঁজা হবে। তাই বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সহ বিভিন্ন মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে। ডামাডোলের বাজারে লাদাখ সীমান্তে যাতে চিনের লালফৌজ অনুপ্রবেশ করতে না পারে, তার দিকে নজর রাখার জন্য ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেন-রুশ যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লির অবস্থান কী হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকেও (NSA Ajit Doval) বৈঠকে অংশ নিতে বলা হয়েছে।