নিজস্ব প্রতিনিধি: মোদিকে ২০২৪ নির্বাচনেও হারানো সম্ভব হলেও বিজেপি থেকে যাবে, গোয়াতে এক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন ভোটকুশলি প্রশান্ত কিশোর। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির পক্ষে কোনওদিন মোদিকে হারানো সম্ভব নয়। সেটাই বুঝতে চাইছেন না রাহুল, তাই মূল সমস্যা হয়েছে। প্রশান্তের এই বক্তব্যের পর বিজেপির তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইহই রব তোলা হয়েছে। পিকের বক্তব্য টুইটারে হু হু করে শেয়ার করছে বিজেপির আইটি সেল। যদিও প্রশান্তের ঘনিষ্ঠের দাবি বিজেপির হয়ে বা মোদির গুণগান গাইতে নয়। পিকে বাস্তব চিত্রটাই বলতে চেয়েছেন।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে প্রশান্ত বলছেন, ‘স্বাধীনতার ৪০ বছর পর ভারতে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তাদের কেউ হারাতে পারেনি, হ্যাঁ কিছু কিছু জায়গায় হেরেছে। কিন্তু দিল্লির মসনদে কংগ্রেসই ছিল। ঠিক এই ঘটনাই ঘটবে বিজেপির ক্ষেত্রেও, কিছু দশক ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি। কারণ যে দলটা ৩০ শতাংশের বেশি ভোটব্যাঙ্ক বানিয়ে ফেলেছে তারা এত সহজে হারবে না। হয়ত কিছু বিধানসভা হারবে, কিন্তু দেশের ক্ষমতায় বিজেপি থাকবে। আমি এখনও বলছি, মোদির উপর মানুষের রাগ রয়েছে কিন্তু তাঁর নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে যেটা কোথাও সরবে না। তবে রাগের জন্য মোদি হারতেও পারে, তবে বিজেপি থাকবেই। এত সহজে বিজেপি যাওয়ার নয়। এই সোজা কথা রাহুল গান্ধি বুঝতে পারছে না। উনি ভাবছেন দেশের মানুষ রেগে আছে তাই মোদি আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। সেটা সম্পূর্ণ ভুল।’
ভোটকুশলি পিকে বলেছেন, ‘মোদির গ্রহণযোগ্যতা, ক্ষমতা বুঝতে হবে, ওঁর মত করে ভাবতে হবে। তবেই তাঁকে হারানো সম্ভব নইলে নয়। মানুষ রেগে আছে বলে সেই ফাঁদে পা দিয়ে মোদির বিরুদ্ধে কিছু পরিকল্পনা না করেই এগোব, সেটা সম্পূর্ণ রূপে ভুল সিদ্ধান্ত।’ ২০২১-এর নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুতে বিজেপিকে রুখে দেওয়ার জন্য পিকের জনপ্রিয়তা বাড়ে। ২০২০ সালে দিল্লিতে কেজরিকে ফের মুখ্যমন্ত্রী করায় মোদি বিরোধী ভোটকুশলি হিসেবে একাধিক বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় পিকের। তাই ২০২৪ নিয়ে জোটের সলতে পাকানোর কাজ শুরু করলেও কংগ্রেসের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় সরে আসেন পিকে।