নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২১-এ দাঁড়িয়ে এখনও সেই অন্ধবিশ্বাস বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জ্বর কিংবা সাপে কাটার জন্য চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে গিয়ে মানুষের ভরসা তান্ত্রিক কিংবা ওঝা। আর যার পরিণাম হয় ভয়ঙ্কর। যেমনটা ঘটেছে রাজস্থানের এক গ্রামে। কিছুতেই জ্বর ভালো হচ্ছিল না সাতমাসের দুধের শিশুর। তাই স্থানীয় তান্ত্রিকের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় সেখানেই টোটকা হিসেবে গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দেন। আর তাতে আরও শরীর খারাপ হয়ে যায় শিশুটির। এরপরে শিশুটির পরিবারের লোক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। তান্ত্রিকের কার্যকলাপ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির পরিবারের লোকজন। জানা গিয়েছে এই ঘটনায় অভিযুক্তকে তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে, রাজস্থানের ভিলওয়ারা গ্রামে। মধ্যপ্রদেশের নিমাচ এলাকার বাসিন্দা শম্ভু ভিল। কর্মসূত্রে পরিবার সহ রাজস্থানের ভিলওয়ারার দাদাবাড়ি কলোনিতে বসবাস করেন তিনি। শম্ভু এবং তাঁর স্ত্রী দু’জনেই শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের সাত মাসের পুত্র সন্তান বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল। সে সময় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে। কিন্তু স্থানীয়রা এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যেতে বলে। তখনই এই কাণ্ড ঘটায় তান্ত্রিকটি। প্রশ্ন উঠছে চিকিৎসকদের কাছ থেকে অর্ধেক চিকিৎসা করে কেন আবার তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে গেল শম্ভু ও তাঁর স্ত্রী?
এই ধরনেরই আরেকটি ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের দ্বারকা জেলায়। স্থানীয় এক ওঝা ঝাঁড়ফুকের নামে গরম লোহার চেন দিয়ে ২৫ বছরের এক তরুণীকে মারধর করে। যার জেরে তরুণীর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম রামিলা সোলাঙ্কি। জানা যায়, গত বুধবার তরুণী নিজের স্বামী ভালার সঙ্গে ওখামাধি গ্রামের নবরাত্রির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে আচমকা তিনি কাঁপতে আরম্ভ করেন। সকলের ধারণা হয়, রুষ্ট দেবী তাঁর উপর ভর করেছেন। সেই কারণেই তাঁকে স্থানীয় ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে।