নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলায়: বিদায়ী শাসকদল বিজেপির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে পশ্চিম ত্রিপুরার জিরানিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক হিমাদ্রি কুমার দাসকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি বিজেপির হয়ে সরাসরি কাজ করার অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জিরানিয়া থানার ওসি নাড়ুগোপাল সরকার ও রনির বাজার থানার ওসি আশিস সরকার। সেই সঙ্গে উত্তর পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যে অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে তিনজনকে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই তিনজন হলেন যোগেন্দ্র ত্রিপাঠী, বিবেক জহুরি ও বি মুরলীকুমার। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবির।
গত ১৮ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মজলিশপুরের রনিরবাজারে কংগ্রেসের বাইক মিছিলের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই হামলায় গুরুতর আহত হন রাজ্য কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক অজয় কুমার। তাছাড়া আরও কয়েকজন কংগ্রেস নেতা-কর্মী আক্রান্ত হন। অভিযোগ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও বিজেপির মারমুখী সমর্থকদের থামাতে কোনও উদ্যোগ নেননি গেরুয়া বান্ধব হিসেবে পরিচিত জিরানিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক হিমাদ্রি দাস। এমনকী জিরানিয়া থানার ওসি নাড়ুগোপাল সরকার ও রনিরবাজারের ওসি আশিস সরকারও আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ।
হামলার অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছিল কংগ্রেস। কেন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছনো সত্বেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে না রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজির কাছে জানতে চেয়েছিল কমিশন। স্থানীয় প্রশাসন থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আজ শুক্রবার বিজেপি ঘনিষ্ঠ তিন পুলিশ আধিকারিককে অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সাসপেন্ড হওয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক হিমাদ্রি দাস আগরতলার হাপানিয়ার বাসিন্দা। এলাকায় এক সময়ে বিজেপির কট্টর সমর্থক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। মজলিশপুর জিততেই তাঁকে জিরানিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দায়িত্বে তাঁকে বসানো হয়েছিল বলে কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনের অভিযোগ।