নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই : ২০০২ সালে ‘পাওয়ার প্লে’র কারণেই গুজরাত দাঙ্গার একটি মামলা থেকে রেহাই মিলেছিল অমিত শাহের। শিব সেনার মুখপাত্র সামনায় রবিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরদ পাওয়ারের সহায়তায় জামিন মিলেছিল শাহের। এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল অবশ্য বিষয়টিকে খারিজ করে দিয়েছেন।
শিব সেনার মুখপত্র ‘রোকঠোক’-এ আগে সাপ্তাহিক কলাম লিখতেন শিব সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। কিন্তু তাঁর জেলযাত্রার পর ‘কড়কনাথ মুম্বইকর’ নামে একজন সেই কলামে লিখছেন। রবিবার ‘রোকঠোক’-এ লেখা হয়েছে, ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার একটা মামলা থেকে অমিত শাহকে জামিন পেতে সাহায করেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। এর আগে শাহ মহারাষ্ট্র ও মারাঠীদের নিয়ে অপমানসূচক মন্তব্য করতেন। গুজরাত দাঙ্গা মোদি-শাহের বিরুদ্ধে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের বড় হাতিয়ার ছিল। এরপরই সামনায় লেখা হয়েছে, এই অবস্থায় পাওয়ারের সঙ্গে মোদির ‘সম্পর্ক’ গড়ে ওঠে। তারপরই দাঙ্গার এক মামলা থেকে জামিন পান বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এর পাশাপাশি শিব সেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরেও অমিত শাহের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে দৌত্য করেছিলেন। বিষয়টি সঞ্জয় রাউত ভালো লিখতে পারবেন এবং শরদ পাওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরে ভালো বলতে পারবেন। শাহকে খোঁচা মেরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই অমিত শাহ এখন শরদ পাওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছেন।
তবে সামনার এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। হতে পারে সম্পাদকীয়তে কেউ নিজের মতো করে লিখেছেন। কিন্তু শরদ পাওয়ারের সঙ্গে গোধ্রা মামলার কি সম্পর্ক থাকতে পারে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।’