নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: গেরুয়া শিবির ছেড়ে মঙ্গলবার সকালেই নিজেদের পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরেছিলেন ত্রিপুরার দুই পদত্যাগী বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন ও আশিস সাহা। আর ঘর ওয়াপসির পরে বিকালেই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হয়ে দুই নেতা অভিযোগ করেছেন, ‘বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে ক্ষমতায় আসার পরে পেশি আর অর্থ শক্তির জোরেই সব ভোটে জিতেছে বিজেপি।’ আগামী ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরা থেকে বিপ্লব দেবের সরকারকে উৎখাত করে কংগ্রেস ছাড়ার প্রায়শ্চিত্ত করবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
এক সময়ে ত্রিপুরার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সুদীপ রায়বর্মন এদিন সকালে দিল্লিতে রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেসে যোগ দেন। সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্বের বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যে সংগঠনকে নতুনভাবে চাঙ্গা করতেই দলত্যাগী নেতাকে ফের কংগ্রেসে ফিরিয়ে এনেছেন সোনিয়া তনয়। শুধু তাই নয়, বিধানসভা ভোটের আগে সুদীপের সাহায্যেই বিজেপিতে থাকা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতাদের দলে ফিরিয়ে এনে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের ধাক্কা দিতে চাইছেন রাহুল।
কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে বিকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুদীপ রায়বর্মন বলেন, ‘ত্রিপুরা থেকে বাম রাজত্বের অবসান ঘটাতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমরা যোগ দেওয়ার আগে রাজ্যে বিজেপির ভোট ছিল দেড় শতাংশের সামান্য বেশি। আমাদের কাঁধে চড়েই ত্রিপুরার ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। কিন্তু গত চার বছর ধরে বিজেপি সরকারের জমানায় মানুষের উপরে শুধু নির্যাতন চলছে। অর্থ আর পেশী শক্তির মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে বিজেপি সরকার। আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্যবাসী বিজেপিকে ঘাড়ধাক্কা দিতে প্রস্তুত। আজ থেকেই ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারকে উৎখাত করার যুদ্ধ শুরু হলো।’