এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেন্দ্রের আপত্তি উড়িয়ে সমলিঙ্গের বিয়ের মামলার শুনানি জারি সুপ্রিম কোর্টে

নিজস্ব প্রতিনিধি: সমলিঙ্গের বিয়ে(Same Sex Marriage) আদতে নিছক একটা ‘শহুরে অভিজাত দৃষ্টিভঙ্গি’। অন্তত সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) সোমবার কেন্দ্রের তরফে এমনই একটা হলফনামা দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের(Modi Government) তরফে দেশের শীর্ষ আদালতকে এই বার্তাও দেওয়া হয়েছিল যে এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত বা আইন প্রণয়নের অধিকার রয়েছে একমাত্র সংসদের। দেশের সরকারই এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেটা নেবে। সুপ্রিম কোর্ট যেন এই নিয়ে পদক্ষেপ না করে। কার্যত কেন্দ্রের এই বক্তব্যকে তুলোধনা করেই মঙ্গলবার সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হয়েছে সমলিঙ্গের বিয়ের আর্জি নিয়ে দায়ের হওয়া একগুচ্ছ আবেদনের ওপর শুনানি। এদিনও কেন্দ্রের তরফে সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহতা(Solicitor General Tushar Mehta) এই মামলা খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ হয়ে মামলার শুনাই শুরু হয়ে যায় পূর্ণদমে।

আরও পড়ুন দুয়ারে সরকারে মাত্র ১৪৪টি আবেদন Student Credit Card’র

সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানির জন্য ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। সেই বেঞ্চে আছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এস কে কৌল, বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্ট, বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি পি এস নরসিংহ। এই বেঞ্চের সামনেই এদিন শুনানির শুরুতেই সলিসেটর জেনারেল প্রশ্ন তোলেন যে, এই মামলাটি শোনার বিষয়ে আদালতের এক্তিয়ার আদৌ আছে কিনা তা নিয়ে। জবাবে প্রধান বিতারপতি সাফ জানান, আদালতের সিদ্ধান্ত অন্য কেউ ঠিক করে দিতে পারে না। আদালত আবেদনকারীদের বক্তব্য শুনতে চায়। এরপরই আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী মুকুল রোহতাগি(Mukul Rohotgi) জানান, ২০১৮ সালে ৩৭৭ অনুচ্ছেদকে বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে তাঁদের নির্দেশ ছিল, সমকামিতা আর অপরাধ নয়। দেশের এই মনোভাবের মানুষেরা দেশের আর পাঁচজন নাগরিকের মতো সব অধিকার ভোগ করবেন। তাঁদের সব অধিকার প্রদান করতে হবে। তাহলে দেশের আর পাঁচজন নাগরিকের যদি বিয়ের অধিকার থাকে তাহলে সমকামী মানুষদের সেই অধিকার থাকবে না কেন! কার্যত এই যুক্তি খাড়া করে সমকামী বিবাহের বৈধতা দাবি করেন মুকুল।  

আরও পড়ুন ‘বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে’, দাবি শুভ্রাংশুর

সেই সঙ্গে রোহতাগি জানান, বিশেষ বিবাহ আইনে যেখানে যেখানে নারী-পুরুষের কথাটির উল্লেখ রয়েছে সেখানে ‘সঙ্গী’ উল্লেখ করা হোক। তাঁর যুক্তি, বর্তমান সমাজে বিয়ের ধারণা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিবাহের মতো এই প্রতিষ্ঠানকে সম্মান করি এবং এর সঙ্গে নিজেদের জড়াতে চাই কারণ এটি সমাজে সম্মানিত। এখন গার্হস্থ্য হিংসা আইনের অধীনে লিভ-ইন সম্পর্কেরও অনুমোদন রয়েছে। আমরা চাই ঘোষণা করা হোক যে, আমাদের সকলের বিয়ের করার অধিকার রয়েছে। বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে সেই বিবাহকে স্বীকৃতি দেবে রাষ্ট্র। আর কেবলমাত্র আদালতের এই ঘোষণার পরই এই বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এর কারণ একসঙ্গে হাত ধরে হাঁটলেও আমাদের নিয়ে কলঙ্ক ছড়ানো হয়। ৩৭৭ অনুচ্ছেদ বাতিলের রায়ের পরও বাঁকা চোখে দেখা হয়। কেন্দ্র বিবাহকে একটি একচেটিয়া বৈষম্যমূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে বিবাহের বিদ্যমান ধারণার সমান বিবেচনা করার প্রশ্নটি প্রতিটি নাগরিকের স্বার্থকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করে। বিয়ে নিয়ে ভারতীয় সমাজে একটা নির্দিষ্ট ধারণা গেঁথে রয়েছে। ধর্মীয় আইনে বিবাহকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই সম্পর্ক শুধুমাত্র বায়োলজিক্যালি পুরুষ ও বায়োলজিক্যালি মহিলার মধ্যে বৈধ।

আরও পড়ুন অভিষেককে নয়া নোটিস, ল্যাজ গুটিয়ে পালালো CBI

এর পাশাপাশি রোহতাগি এটাও বলেন যে, ‘কেন্দ্রের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, যেন এটা ১৯২০ বা ৩০ সাল। তারা বলছে সমকামীরা সমান নয়, ৩৭৭ ধারার রায় নিয়ে খুশি থাকুন, আপনারা ইতিমধ্যে যা অধিকার পেয়েছেন তাই নিয়ে খুশি হন। গত ৭০ বছর ধরে এই আদালত মৌলিক অধিকার রক্ষা করে আসছে। এই অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে আদালত কখনও সংসদের জন্য অপেক্ষা করেনি। ৩২ নম্বর ধারা একটা মৌলিক অধিকার। সংসদ কবে সমকামীদের এই অধিকার দেবে, তার জন্য অপেক্ষা করার কথা বলতে পারে না আদালত।’ যদিও এই সবেই মাঝে সলিসিটর জেনারেল আবারও দাবি করেন যে সুপ্রিম কোর্ট নয়, সমকামী বিবাহের আইনি অনুমোদন প্রদানের অধিকার একমাত্র রয়েছে শুধুমাত্র সংসদদের। একটি নতুন সামাজিক সম্পর্ক তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে একমাত্র দেশের সংসদ, সুপ্রিম কোর্ট নয়। আর এরপরেই প্রধান বিচারপতি পাল্টা জানান, ‘কেন্দ্রের দাবি শুধুমাত্র বায়োলজিক্যালি পুরুষ ও বায়োলজিক্যালি মহিলার মধ্যেকার বিয়েই বৈধ। কিন্তু কে বলল বিয়ে শুধু পুরুষ আর নারীর মধ্যেই বৈধ? বাস্তবে পুরুষ ও নারী বলতে ঠিক কী বোঝায় তার নির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞা নেই।’  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলল হোয়াটসঅ্যাপ, কেন ?

বেঙ্গালুরুতে ভোট দিলেই মিলছে বিয়ার, কফি, ধোসা, জুস

স্ট্রেচারে শুয়ে  ভোট দিলেন ৭৮ বছরের বৃদ্ধা

জম্মুতে লাঠিতে ভর করে ভোট দিতে হাজির ১০২ বছরের হাজি করম দীন

১৭,০০০ ক্রেডিট কার্ড ব্লক করেছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের, কারণ শুনলে চমকে উঠবেন

বিহারের ভাগলপুরে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভোট দিলেন অভিনেত্রী নেহা শর্মা 

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর