নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন যেখানেই ভোটে লড়বেন জেতার জন্য লড়বেন। সেইমতোই ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূল। আপাতত উত্তর-পূর্বের রাজ্যে ভাঙন খেলায় নেমেছে ঘাসফুল শিবির। ত্রিপুরাতে শক্তি বৃদ্ধির পর তৃণমূলের টার্গেটে রয়েছে অসম। আর তাই সেখানে সংগঠন ঢেলে সাজাচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ অসমে গিয়েই তৃণমূলের শক্তি বাড়াতে মরিয়া।
শুক্রবারই শিলচরে তাঁর হাত ধরে বিজেপি ও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ১৫০ জন নেতা-কর্মী। এর মধ্যে বিজেপির কিষাণ মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি অনাদি ভট্টাচার্য-এর মত নেতা এদিন যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। বর্তমানে তিনি অসমে বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ছাড়াও তাঁর সঙ্গে আরও ৩৬ জন বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বাকিরা এসেছেন কংগ্রেস থেকে। ১৫০ জন নেতা-কর্মীর সঙ্গেই যোগ দিয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। এই বিষয়ে সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে অসমে বিরোধী বলে কিছু নেই। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর তাঁদের নেতাদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপির অপশাসনে অসমের মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমজনতা বিকল্প চাইছে। কংগ্রেসের ওপর অসমবাসির কোনও আস্থা নেই। হিমন্ত বিশ্বশর্মা এখানে যা খুশি তাই করছেন। তাঁর মুখের ওপর কথা বলার মতো এখানে কেউ নেই। একমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসই পারে অসমে বিজেপিকে হারাতে।’
গোয়া, ত্রিপুরার পর অসমে যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে তৃণমূল। এদিকে মেঘালয়েও শক্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূলে। সেখানকার প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলেই জানা গিয়েছে। তালিকায় রয়েছে ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক।