নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঁচি: বাড়ির পরিচারিকা আদিবাসী হওয়ায় তার ওপর চলত শারীরিক নির্যাতন। লোহার রড দিয়ে ভেঙে ফেলে দাঁত। মেঝেতে পড়ে থাকা প্রসাব তাঁকে চাটতে বাধ্য করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমে তার সেই অত্যাচারের খবর প্রকাশিত হলে দল থেকে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। বুধবার সেই বিজেপি নেত্রীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম সীমা পাত্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বেটি বাঁচাও বেটি পডা়ও প্রকল্পের অন্যতম আহ্বায়ক ছিলেন সীমা। তাঁর স্বামী আবার প্রাক্তন আইএএস।
তাঁর দানবীয় অত্যাচারের শিকার সুনিতা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সে বলার চেষ্টা করে সীমার বর্বর আচরণের কাহিনী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো, যেখানে দেখা গিয়েছে তাঁর দাঁত ভাঙা। শরীরে রয়েছে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। আর অত্যাচার এক-আধদিনের নয়, অত্যাচার গত আট বছরের। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে সে বলছে, স্বামীর সামনেই তাঁর মালকিন অত্যাচার চালাত। আর শারীরিক নির্যাতনের জন্য বেছে নিত ছুতো-নাতা অভিযোগ। লোহার রড দিয়ে দাঁত ভেঙে দেয় তাঁর মালকিন সীমা। স্বামী প্রাক্তন আইএএস হওয়া এই বলে হুমকি দিত কোথাও অভিযোগ জানিয়ে লাভ হবে না। কারণ, পুলিশ-প্রশাসনের মাথারা তাঁর স্বামীকে ভালোভাবেই চেনে।
পরিত্রাতা হয়ে ওঠে তাঁর ছেলে আয়ুশমান। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে সুনীতাকে তাঁর মায়ের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো দেখার পর রাজ্যপাল রমেশ বায়েস পুলিশের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। মনে করা হচ্ছে রাজ্যপাল নড়েচড়ে বসায় সীমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।