নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পদ থেকে না সরায় অধ্যাপিকাকে যৌন হেনস্থা ও হুমকির অভিযোগ বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগের তীর বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুই অধ্যাপক(১জন মহিলা) ও দুই পরুয়ার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা অধ্যাপিকা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। দলিত হওয়ার দরুণ তাঁকে এই হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তাঁকে বিবস্ত্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোরানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যোগীরাজ্যে এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অভিযোগ, গত ২২ মে তাঁর চেম্বারে দুই অধ্যাপক আসেন। অধ্যাপিকাকে পদ থেকে সরে যেতে বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়। তাঁদের সাহায্য করেছে দুই পড়ুয়া। জামা ছিঁড়ে তাঁর গোপনাঙ্গে স্পর্শ করা হয়েছে। তিনি ছুটে বেরোতে গেলে তখন তাঁর সঙ্গে এই কাণ্ড ঘটানো হয়। ওপর অভিযুক্ত মহিলা অধ্যাপিকা ঘটনার ভিডিও করেন।
ঘটনাটি ২২ মে ঘটলেও ২৭ অগস্ট পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন মামলা রুজু করেনি বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর ৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ , ৩৪২, ৩৫৪-বি, ৫০৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তপসিলি জাতি ও উপজাতি আইনেও মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনারসের সহকারী পুলিশ কমিশনার প্রবীর কুমার সিং।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘু পড়ুয়াকে শিক্ষিকার নির্দেশে অন্য সহপাঠীদের চড় মারার ঘটনায় আলোড়ন শুরু হয়। এবার অধ্যাপিকা নিগ্রহের ঘটনায় নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই যদি শিক্ষাঙ্গনের হাল হয় যোগীরাজ্যে তবে মানুষের নিরাপত্তা কোথায় প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।