নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে এল কাউলকেউটে। ভোপালের (Bhopal) বেসরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ‘পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট’ (post mortem) সেই কথা বলছে। সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদন জানিয়েছে, হাসপাতালে এমার্জেন্সি এগজিট (জরুরী নিষ্ক্রমণ দরজা) (Emergency Exit) বলে আলাদা কোনও ব্যবস্থাই ছিল না। হাসপাতালে ঢোকা এবং হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা একটাই। আর সেই রাস্তা এতটাই সরু( too very narrow) যে সরু গলিও তা দেখে লজ্জা পাবে। আর পরিস্থিতি ঘোরালো করে তোলে ওই সরু রাস্তার লম্বালম্বি করে রেখে দেওয়া অক্সিজেন সিলিন্ডার।
সোমবার (Monday evening) দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ এই হাসপাতালে আগুন লাগলে মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা অনেকেই প্রাণ হাতে করে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেননি ওই আটজন। আগুন তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (CM Shivraj Singh Chouhan) উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন। তৈরি করেন চার সদস্যের একটি কমিটি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন জবলপুরের ডিভিশনাল কমিশনার বি চন্দ্রশেখর।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই সময় হাসপাতালে জেনারেটরে শটসার্কিট (short circuit) হয়। আগুন লাগে তা থেকেই। ঘটনায় আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। আরও আট গুরুতর জখম। সংখ্যাগরিষ্ঠের শরীরের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ জলে গিয়েছে। তাদের কাছাকাছি একটি বেসরকারি হাসপাতালে (private hospital) এবং নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (NSC Bose Medical College and hospital). ভর্তি করা হয়েছে।