নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ব বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ শেয়ার টাটা গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরেই রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন ( Life Insurance Corporation) বা LIC-কেও বেসরকারিকরণের উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। জাতীয় মনিটাইজেশন প্ল্যানের ( National Monetisation Plan) অধীনে এই 25টি বিমানবন্দরকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। যদিও আগেই দেশের কয়েকটি বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার নতুন করে ২৫টি বিমানবন্দরের তালিকা জানালেন অসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং। লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
অসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী এই 25টি বিমানবন্দর নির্বাচিত করেছে সরকার। এই বিমানবন্দরগুলি ভারতের বিভিন্ন শহরজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। যেমন নাগপুর, বেনারস, দেরাদুন, ত্রিচি, ইন্দোর, চেন্নাই, কালিকট, কোয়েম্বাতোর, ভুবনেশ্বর এবং পাটনার মতো বিমানবন্দর রয়েছে তালিকায়। আগামী তিন বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে বলে জানান তিনি। এই ২৫টি বিমানবন্দর বেসরকারিকরণ সফল হলে পরবর্তী ধাপে মাদুরাই, তিরুপতি, রাঁচি, যোধপুর, রায়পুর, রাজামুন্ড্রি, ভডোদরা, অমৃতসর, সুরাট, হুবলি, ইম্ফল, আগরতলা প্রভৃতি শহরগুলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিমানবন্দরগুলিকে বেসরকারিকরণের পথে নিয়ে যাবে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মূলত যে বিমানবন্দরগুলির বার্ষিক ট্রাফিক ০.৪ মিলিয়নের বেশি, সেগুলিকে বেসরকারিকরণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বছরে ০.৪ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দরগুলিতে যাতায়াত করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য এই বিমানবন্দরগুলি বেসরকারিকরণ বা বিক্রি করে প্রায় ২০,৭৮২ কোটি টাকা জোগাড় করা। সেই লক্ষ্যেই কোমর বেঁধে নেমেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। তবে এই উদ্যোগ কতটা সফল হয় সেটাই এখন দেখার।
