নিজস্ব প্রতিনিধি: সামনেই ত্রিপুরায় পুর ও নগরপালিকা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় ঝাঁপাতে মরিয়া পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দীপাবলির আগেই একটানা ১০-১২ দিন জনসংযোগে জোর দিতে চাইছে ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্ব। শুক্রবার থেকেই ত্রিপুরার সমস্ত ব্লক, পুর এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভিশন’ নিয়ে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর আগেই ওই রাজ্যে দলের স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করেছিল দল।
৩০ সদস্য বিশিষ্টবিশিষ্ট এই স্টিয়ারিং কমিটির প্রতিটি সদস্যই এদিন থেকে বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ যাত্রায় অংশ নেবেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারই ছিল ত্রিপুরার নবগঠিত স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম বৈঠক। তাতেই ঠিক হয়েছে কোনও রকম সময় নষ্ট না করে শুক্রবার থেকেই ত্রিপারার মানুষের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ ও উন্নয়নমুখী প্রকল্পের কথা তুলে ধরার কাজ শুরু হবে। এই কর্মসূচির মূল স্লোগান ‘ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা তৃণমূলের নতুন স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে প্রায় দু’ ঘণ্টার বৈঠক হয় আগরতলায়। উপস্থিত ছিলেন, সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক, আশিসলাল সিং-সহ স্টিয়ারিং কমিটির ৩০ জন সদস্য। বৈঠকের পর তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব জানান, কয়েক মাস পরেই ত্রিপুরায় পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। তার আগে ‘ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’ এই স্লোগান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমুখী ভিশন মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য রাজ্যের ৫৮ ব্লক এবং ১৬টি পুর এলাকায় আমরা জনসংযোগ যাত্রা করব। ত্রিপুরায় কেন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার দরকার, তা মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করব’।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, ত্রিপুরায় সব ধরণের নির্বাচনেই লড়বে দল। সেই মতো ত্রিপুরার পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল। ওই রাজ্যের নেতা সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন দ্রুত বেড়ে চলেছে। তাই ৩০ জনের স্টিয়ারিং কমিটি একাধিক দলে ভাগ হয়ে জনসংযোগ যাত্রা করবেন। পুর এলাকাগুলির প্রতিটি ওয়ার্ডেই পৌঁছবে তৃণমূল। ছোট ছোট মিটিং করে স্থানীয় মানুষের কাছে তৃণমূলের প্রকল্প ও পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে। সেই সঙ্গে পুর নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও শুরু করে দিয়েছে দল।