নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘মিশন ত্রিপুরা’ নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই ত্রিপুরাতে পুরভোট, আর সেই নির্বাচনে প্রথমবার অংশগ্রহণ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শুধুমাত্র কিছু আসন জেতার জন্য নয় সরকার গড়ার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে তৃণমূল। তাই আসন্ন পুরভোটেও দলের সংগঠন, প্রচারে রণকৌশলে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন অভিষেক। সেই কারণেই ত্রিপুরার পুর এলাকা গুলিকে ভেঙে আলাদা আলাদা দায়িত্ব বণ্টন করে পাঁচ বিধায়ক সহ নয় নেতাকে পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতেই আগের থেকেই সেরাজ্যে রয়েছেন তৃণমূলের কিছু সেনাপতি। তাঁদের সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে যাচ্ছেন রাজ্যের নেতারা। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় ১৩টি পুরসভা এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট। মোট ৩২৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হবে। ২৮ নভেম্বর ফলাফল ঘোষণা। আর সেই ভোটে জিতে পুরসভা দখলের জন্য বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস।
এলাকা ভাগ করে দায়িত্বে রয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, কোচবিহারের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, চাঁপদানি পুরসভার পুর প্রশাসক ও বিধায়ক অরিন্দম গুঁই, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি এবং রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরি, পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা’র মত তৃণমূল নেতাদের গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর নির্দেশেই বুধবার বিমানে ত্রিপুরা গিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন প্রত্যেকেই। প্রত্যেক নেতাকেই এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব আশিল লাল সিং ও সুবল দেব’দের নিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন পশ্চিমবঙ্গের নেতারা।
জানা গিয়েছে, বিধায়ক আমিরুল ইসলামকে ত্রিপুরার সেপাইজালা জেলার সোনামুড়ার নগর পঞ্চায়েতে ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই ভোটে তাঁর সহযোগী নেতা কোচবিহারের পার্থপ্রতিম রায়। বিধায়ক অভিজিৎ সিংহকে খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁর সহযোগী আরও এক বিধায়ক খোকন দাস। বিধায়ক অরিন্দম গুঁইকে দেওয়া হয়েছে ঢালাই জেলার আমবাসা পুরসভার দায়িত্ব। সেখানে তাঁর সহযোগী হিসেবে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের যুব নেতা সুপ্রকাশ গিরি। আগরতলা ত্রিপুরার রাজধানী, সেখানকার পুরসভাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন অভিষেক। ওয়ার্ড ভাগ করে তিন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন অভিষেক। আগরতলা পুরসভার ১ থেকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। ১৮ থেকে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে নারায়ণ গোস্বামী ও আগরতলা পুরসভার ৩৫ থেকে ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন সদ্য বিজেপি ত্যাগী গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। জানা গিয়েছে ত্রিপুরাতে পুরভোটেও জনসভা করতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেক বিধায়ক ত্রিপুরা যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই স্পিকারের থেকে ছুটি লিখিয়ে নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।