নিজস্ব প্রতিনিধি, দেহরাদুন: সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে হেরেছেন। যদিও তাতে তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্ব আটকায়নি। হেরে যাওয়া পুষ্কর সিং ধামির উপরেই ভরসা রেখেছেন নরেন্দ্র মোদি আর অমিত শাহরা। আর দলের দুই শীর্ষ নেতার আশির্বাদের হাত মাথায় থাকায় কার্যত নিজেকে বাহুবলী থুড়ি ক্ষমতাশালী ভাবতে শুরু করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাতেই রাজ্যের নয়া মন্ত্রিসভার সদস্যদের দায়িত্ব বন্টন করেছেন তিনি। আর ওই দায়িত্ব বন্টন করতে গিয়ে ২৩ দফতর নিজের হাতে রেখেছেন ধামি। যা নিয়ে হাসি-মশকরায় মেতে উঠেছেন নেটা নাগরিকরা।
নিজের হাতে স্বরাষ্ট্র, কর্মীবর্গ, কারাগার, আবগারি, শ্রম, পরিবেশ সংরক্ষণ, অসামরিক পরিবহণ সহ গুরুত্বপূর্ণ ২৩ দফতর রেখেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার আর এক সদস্য তথা ধর্মীয় গুরু সতপাল মহারাজের কাঁধে পড়েছে আট দফতর সামলানোর দায়িত্ব। পর্যটন, ধর্ম, পঞ্চায়েতরাজ, পূর্ত, সেচ ও জলসম্পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেসি তথা রাজনীতিতে ডিগবাজি খাওয়ার জন্য খ্যাত রাজ্যের প্রবীণ নেতা। সৌরভ বহুগুনাকে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রেমচাঁদ আগরওয়ালকে। অর্থের পাশাপাশি নগরোন্নয়ন ও পরিষদীয় বিষয়ক দফতরের সঁপে দেওয়া হয়েছে তাঁর কাঁধে। চন্দন রামদাস পেয়েছেন পরিবহণ, সমাজকল্যাণ, সংখ্যালঘু কল্যাণ দফতরের দায়িত্ব। নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন রেখা আর্য। শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ধন সিং রাওয়াতকে।